দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এক অদ্ভুত খবর। কারণ এক দম্পতির তালাক হয়েছিলো ৫০ বছর আগে। এতো দীর্ঘসময় পর এই বয়সে এসে তারা আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন!
আজকের কথা নয়, সেই ১৯৫৫ সালের কথা। দুজনার চারটি হাত বেঁধেছিলেন একই সুতোয়। তবে কোনো এক ঝড়ে সেই সুতো ছিঁড়ে গিয়েছিলো। ১৯৬৭ সালে একে অপরকে ছেড়ে গিয়ে অন্যত্র নতুন করে গাঁটছড়া বাঁধেন দুজনই। তবে পরষ্পরের প্রতি ভালোবাসাটা রয়ে যায় অমলিন। তাইতো বিচ্ছেদের ৫০ বছর পর আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হ্যারল্ড হল্যান্ড ও লিলিয়ান বারনেস দম্পতি। ঠিক হয়েছে তারিখ। আগামী ১৪ এপ্রিল পারিবারিকভাবে তাদের এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে!
এক খবরে বলা হয়, ১৯৫৫ সালে বিয়ের পর ১৯৬৭ সালে দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে বেঁকে যায়। তালাকের সময় তাদের ছিল ৫ সন্তান। হ্যারল্ড হল্যান্ড এবং লিলিয়ান বারনেস যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি এলাকার বাসিন্দা। ১৯৫৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। তারপর একে একে তাদের ৫ সন্তানেরও জন্ম হয়। ১৯৬৭ সালে খুব সামান্য কারণে তাদের তালাক হয়ে যায়। তবে তালাক হলেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন হ্যারল্ড এবং লিলিয়ান। অন্য মানুষের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তারা দুজনই। দুজনের দ্বিতীয় বিয়েও অনেক দিন টেকে। ২০১৫ সালে হ্যারল্ডের দ্বিতীয় স্ত্রী ও অপরদিকে লিলিয়ানের দ্বিতীয় স্বামীও মারা যান।
জানা গেছে, তালাকের ৫০ বছর পর একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে এই সাবেক দম্পতির দেখা হয়। পরস্পরকে দেখে দুজনেই অনুভব করেছিলেন যে, মনের টান এখনও তাদের মধ্যে অটুট রয়েছে। সেই থেকে দুজনের মধ্যে আবার যোগাযোগ শুরু হয়ে যায়। একপর্যায়ে আবারও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এই দম্পত্তি। এই দম্পত্তির মধ্যে বরের বয়স বর্তমানে ৮৩ বছর। আর কনের বয়স ৭৮। ৫০ বছর পূর্বে তালাকের ঘটনার সমস্ত দায় নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন হ্যারল্ড হল্যান্ড। তিনি বলেছেন, ‘প্রথম বিয়ে না টেকার শতভাগ দোষ আমার। তবে তখন লিলিয়ানকে আমি সবই দিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের সন্তানদের কখনও অবহেলা করিনি আমি।’
জীবনের শেষ পর্যায়ে দাড়িয়ে তাই হ্যারল্ডের চাওয়া শেষ জীবনটা যেনো তাদের এক সঙ্গেই কাটে। হ্যারল্ড জানিয়েছেন, ‘জীবনের শেষ মাইলটিও আমরা একসঙ্গে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সত্যিই এক অভূতপূর্ব মিল এই দম্পতির!
তথ্যসূত্র: http://time.com