দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবাসিক হোটেলের কথা আমরা সবাই জানি। বিদেশ বিভূয়ে বেড়াতে গেলে আবাসিক হোটেলে উঠতে হয়। কিন্তু এবার এক ব্যতিক্রমি খবর হলো গরু, মহিষ ও ছাগলের জন্য খোলা হয়েছে আবাসিক হোটেল!
গরু-মহিষ ও ছাগলের জন্য আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে কেশবপুরে। দূর-দূরান্ত হতে হাটে নিয়ে আসা হয় গরু, মহিষ ও ছাগলকে। যদি গরু-মহিষ বিক্রি না হয় তাহলে সেগুলো কোথায় রাখবে? তাই রাত্রি যাপনের জন্য আবাসিক হোটেলটি গড়ে তুলেছেন কেশবপুরের আবদুল মজিদ।
কেশবপুর উপজেলা শহর হতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সড়কে ঢুকেই পশু হাটের উত্তর পাশে টিনের ছাউনি দেওয়া আবদুল মজিদের বাড়ি। বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে চোখে পড়লো বিভিন্ন আকৃতির ঘরে গবাদিপশু রাখার জন্য চার সারি দড়ি বাঁধার হুক। এটিই সেই পশুদের আবাসিক হোটেল।
জানা যায়, হাটে বিক্রি না হওয়া গরু এই হোটেলে রাখা হয়। এতে গরু প্রতি খরচ হয় মাত্র ৪৫ হতে ৫০ টাকা। তবে খরচের তুলনায় সুবিধাই বেশি বলে মনে করছে স্থানীয় লোকজন।
বরিশালের জনৈক গরু ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান ব্যাপারী বলেন, হাট হতে গরু কিনে ওইদিন রাতেই গাড়িতে লোড করা খুব ঝামেলাকর ব্যাপার। তাই গরু এই হোটেলে এক রাত রেখে পরদিন সকালে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, হোটেলে গবাদিপশুর প্রায় সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায়। রয়েছে গোসলের সু-ব্যবস্থাও। আবার গরুর রাখালের জন্যেও থাকার সু-ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
গবাদিপশুর হোটেলটির মালিক আবদুল মজিদ বলেন, আগে ১০ হতে ১২টি গরু-মহিষ রাখার মতো ক্ষুদ্র পরিসরে হোটেল চালু করেন তিনি। তবে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দু’বছর পূর্বে ১৯ শতাংশ জমির ওপর ৬৫ থেকে ৭০টি গরু-মহিষ এবং ছাগল রাখার ব্যবস্থা তিনি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হোটেল হতে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা আয় হয় তার।
আগামীতে এটি আরও বড় করার ইচ্ছা পোষণ করছেন তিনি। অবিক্রিত গবাদিপশু নিয়ে ব্যবসায়ীরা আগে বিপাকে পড়তেন, তিনি সেটি উপলব্ধি করেই গড়ে তুলেছেন গরু-মহিষ ও ছাগলের আবাসিক এই হোটেলটি। একদিকে তিনি ব্যবসা করছেন, অপরদিকে ব্যবসায়ীদেরও বেশ সুবিধা হয়েছে।