দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাতারের নাগরিক হিসেবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত বয়সী সকল যুবককে সেনাবাহিনীতে যোগদান করা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। যে সকল যুবক সেনাবাহিনীতে যোগদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করবে তাকে কারাভোগ অথবা ১৩৭০০ থেকে ৮২৪০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।
কাতারের সেনাবাহিনীর সংখ্যা কম থাকায় ২০১৩ সালে কাতার সরকার এই আদেশ কার্যকর করতে চেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রতিবেশি দেশগুলোর থেকে রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তার হুমকিতে থাকায় দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রতিরক্ষা নীতিতে পরিবর্তন এনে নতুন এই আদেশ যারি করেছে। এবং বলা হয়েছে, যুবকদের ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করতে হবে।
যারা এই সময়ের মধ্যে আবেদন করবে না তাদের কারাভোগ বা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হবে। তবে সর্বনিম্ন ১ বছর তাকে সেনাবাহিনীতে থাকতে হবে। তারপর সে ইচ্ছা করলে চাকরি ছেড়ে দিতে পারে। এর মূল কারণ হল কাতার সরকার তার দেশের সকল যুবককে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দিয়ে রাখতে চায়। যে কোন সময় তারা যেন দেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া কাতারের নারীরা প্রথমবারের মতো সৈনিক পদে দেশটির সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
দেশটির নতুন সেনা আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সী কাতারি নারীরা সেনাবাহিনী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিতে পারবে। পূর্বে কাতারের সেনাবাহিনীতে প্রশাসনিক পদে নারীরা থাকলেও সৈনিক পদে এই প্রথমবার নারীদের নিয়োগ দিচ্ছে কাতার। তবে সেনাবাহিনীতে নতুন নারী স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা কী হবে সেটি প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।