দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একাদশ জাতীয় সংসদের বহুল আলোচিত মনোনয়ন প্রত্যাশী হিরো আলম মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন উল্লেখ করে বলেছেন, ‘প্রার্থীতা ফিরে না পেলেও হিরো আলম বসে থাকবে না’।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় বেশ কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলম। প্রার্থিতা ফিরে না পেলে বসে থাকবেন না, যে কোনো এক পক্ষকে সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।
গত রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা করেন।
হিরো আলম মনে করছেন যে, তার ক্ষমতা নেই বলেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন।
মনোনয়ন যদি ফিরে না পান তাহলে কী করবেন- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেছেন, এমনটি হলে আমি হিরো আলম বসে থাকবো না। আমার ব্যক্তি ইমেজ কাজে লাগিয়ে যে কোনো একটি পক্ষের হয়ে নির্বাচনে কাজ করবো।
কোন পক্ষকে তিনি সমর্থন দেবেন এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেছেন, কোন পক্ষে কাজ করবো তা এখনই বলছি না। সময় হলেই আপনারা সব জানতে পারবেন।
জাতীয় পার্টি হতে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন হিরো আলম। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন হিরো আলমের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণার বিষয়ে বলেছেন, ‘কেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন নিলে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর দিতে হয়। তবে হিরো আলম ভোটারদের স্বাক্ষরসংবলিত যে তালিকাটি জমা দিয়েছেন, তা যাচাই করে দেখা গেছে যে- তিনি ভুয়া ভোটারদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন।’
এই বিষয়ে হিরো আলমের ভাষ্য হলো, আমার নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৬ জন। সেই মোতাবেক মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩ হাজার ১২১ জনের স্বাক্ষর প্রয়োজন। সেখানে আমি দিয়েছি ৩ হাজার ৫০০ জনের স্বাক্ষর । তাই কোনো অবস্থাতেই আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে না।
উল্লেখ্য, ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান ও নাচ দেখিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে আসেন হিরো আলম। তার আসল নাম আশরাফুল আলম। মিউজিক ভিডিওর সুবাদে তিনি হিরো আলম খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি দুইবার ইউপি নির্বাচন করে এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য মাঠে নেমেছেন।