দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইংরেজিতে দেওয়া আদেশ না বুঝেই এক ব্যবসায়ীকে জেলে পুরলো ভারতের বিহার রাজ্যের পুলিশ! বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে!
ইংরেজিতে দেওয়া আদালতের এক আদেশ পত্র বুঝতে না পেরে ভারতের বিহার রাজ্যের পুলিশ এক ব্যবসায়ীকে জেলে পুরে দিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
কোলকাতার খ্যাতিমান বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়, বিচারকের প্রকৃত নির্দেশ ছিল- সম্পত্তির হিসাব করার; তবে বিহার রাজ্যের ওই পুলিশের ইংরেজি জ্ঞানের এমন বহর যে এক রাত হাজত খেটে তার মাসুল গুণতে হলো মিষ্টি ব্যবসায়ী নীরজ কুমারকে। পুলিশের ভুল ভাঙে পরের দিন আদালতে ওই আসামিকে আবার পেশ করার সময়! বিহারের জেহানাবাদে গত ২৫ নভেম্বরের ঘটেছে ওই ঘটনা।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় স্ত্রী রেণু দেবীকে প্রতিমাসে ২,৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল মিষ্টি ব্যবসায়ী নীরজ কুমারকে। প্রতিশ্রুত ওই টাকা দিতে না পারায় তার স্ত্রী আবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর আদালত নীরজের অস্থাবর সম্পত্তি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলে পুলিশকে।
বিচারকের ওই নির্দেশের কপিতে ইংরেজিতে লেখা ছিলো – ‘ডিসট্রেস ওয়ারেন্ট’ অর্থাৎ সম্পত্তির হিসাব করার নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
তবে আদেশনামায় ওই ‘ওয়ারেন্ট’ শব্দটি থাকাতেই পুলিশ মনে করে বসে সেটি ‘অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট’ অর্থাৎ এটি ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা’।
যে কারণে নীরজ কুমারকে ধরে এনে হাজতে পুরে রাখে সেখানকার পুলিশ। পরের দিন তাকে আবার আদালতে হাজির করা হলে পুলিশের ইংরেজির ভুল ভাঙিয়ে দেন ওই আদালতের বিচারক। তখন এমন কাণ্ডে আদালতের কাছে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে পুলিশ। বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এমন কাণ্ড ঘটনানোর জন্য আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে তিরস্কার করেছে কিনা তা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমটি জানায়নি।