দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই আশ্চর্য হতে হয়। কারণ কেটেছে কয়েকশো বছর, তারপরও অবিকৃত রয়েছে মৃতদেহ! দেখুন সেই আশ্চর্যজন ভিডিওটি তাহলেই বুঝতে পারবেন।
এই মৃতদেহকে কখনওই ‘মমি’ বলা যায় না। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার সঙ্গেও এইসব মৃতদেহের কোনও রকম সম্বন্ধ নেই। অথচ মৃত্যুর কয়েকশো বছর পরেও মিমির মতোই এরা অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে বলেই জানা যায়। ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মে ‘দি ইনকরাপ্টিবল বডিজ’ নামেই এরা অধিক পরিচিত।
বিশ্বাসীদের ধারণা মতে, কোনও রকমের প্রক্রিয়া ছাড়াই এই সব মৃতদেহ অবিকৃত থেকেছে। ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী জানা যায়, এই সব ব্যক্তি জীবদ্দশায় অতি পুণ্যকর্ম করেছেন, তাই তাঁদের দেহ এমন দশা প্রাপ্ত হয়।
সাধারণত প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে মৃ্ত্যুর পরে মানব শরীরের অবলোপ অনিবার্য একটি বিষয়। শেষ পর্যন্ত কঙ্কালটুকুই পড়ে থাকে, আর কিছুই থাকে না। তবে এই সব পুণ্যাত্মাদের দেহের ক্ষেত্রে তা মোটেও হয়নি। তাঁদের দেহ মৃত্যুর শতবর্ষ পরেও অবিকৃতই থেকে গেছে। এঁদেরকে সেন্টহুড প্রদান করেছে ভ্যাটিকান। এখন পর্য়ন্ত গোটা পৃথিবীতে ২৫০টি ইনকোরাপ্টেড বডি-র সন্ধান মিলেছে।
এদের মধ্যে ১৩২০ সালে প্রয়াত সেন্ট টেরেসা অফ অ্যাভিলা হতে শুরু করে ১৩৮০ সালে প্রয়াত সেন্ট ক্যাথরিন অফ সিয়েনা, ১৫৫২ সালে প্রয়াত সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার হতে ১৮৭৯ সালে প্রয়াত সেন্ট বার্নাদেত অফ লর্ডেসের অবিকৃত দেহ সমগ্র বিশ্বে অতি বিখ্যাত।
ইস্টার্ণ অর্থোডক্স চার্চের ধারণা মতে, এই ঘটনা একেবারেই অলৌকিক বলা যায়। এখানে ঈশ্বরের মহিমা কাজ করেছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, কোনও না কোনও এক উপায়ে এদের সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেই কারণটি চার্চ সব সময় উহ্য রাখে। বিজ্ঞানের সঙ্গে বিশ্বাসের এই সংঘাতকে অবশ্যই গুরুত্বই দেন না ক্যাথলিকরা। তাঁদের ধারণা মতে, ঈশ্বরই সিদ্ধান্ত নেন কাদের দেহ অবিকৃত থাকবে আর কাদের দেহ গলে যাবে।
এই বিষয়টি নিয়ে ‘দি ইনকরাপ্টিবলস’ নামে একটি গ্রন্থ লিখেছেন মার্কিন লেখিকা জোয়ান ক্যারল ক্রুজ। আজকের কথা নয়, ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত সেই গ্রন্থের জনপ্রিয়তা আজও অমলিন রয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে।
উল্লেখ্য যে, ‘ইউক্যাথলিক’ নামে এক ইউটিউব চ্যানেলে রয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিও। এই ভিডিওটি দেখলে বিষয়টি কিছুটা হলেও পরিষ্কার হবে সবার কাছে।