দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ল্যাম্পপোস্টের নিচে কখনও বসে, কখনও শুয়ে মনোযোগের সঙ্গে পাঠ্যবই পড়ছে একটি বালক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর এই দৃশ্য চোখে পড়ে বাহরাইনের ব্যবসায়ী ইয়াকুব মোবারকের।
ল্যাম্পপোস্টের নিচে কখনও বসে, কখনও শুয়ে মনোযোগের সঙ্গে পাঠ্যবই পড়ছে একটি বালক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর এই দৃশ্য চোখে পড়ে বাহরাইনের ব্যবসায়ী ইয়াকুব মোবারকের।
এই দৃশ্যটি তার মনে নাড়া দেয়। তিনি ওই বালকের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এই বালকটির নাম ভিক্টর অ্যাঙ্গুলো। পেরুর রাজধানী লিমা হতে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কিলোমিটার দূরে মোচে শহরে তার বসবাস। তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সুবিধাও নেই। যে কারণে স্কুলের হোমওয়ার্কের জন্য ল্যাম্পপোস্টই তার ভরসা। গত মার্চ মাসে সেভাবেই পড়ছিল সে। তখন সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া সেই দৃশ্যটি ভার্চুয়াল জগতে ছড়িয়ে পড়ে।
অতি সম্প্রতি ভিক্টরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইয়াকুব মোবারক। ভিক্টরের জন্য একটি নতুন বাড়িও তৈরির ব্যবস্থা করেছেন ইয়াকুব মোবারক। স্কাইনিউজের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়। সেজন্য ইয়াকুব মোবারককে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মোচের মেয়র আর্টুরো ফার্নান্দেজ বলেন, ‘কার্লোস ভিলানুয়েভা (স্থানীয় বাসিন্দা) ইনস্টাগ্রামে ভিক্টরের ভিডিওটি পোস্টও করেছিলেন ও ইয়াকুব সেটি বাহরাইন হতে দেখেন। এই মেসেজটি তার মনে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে। তাকে সেজন্য ধন্যবাদ।’ ইয়াকুব মোবারক আরও বলেন, ‘এই শিশুটিই একটি বড় গল্প তৈরি করবে, একটি সাফল্যের গল্প যা বিশ্বের অন্য শিশুদের কাছে সত্যিই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
ভিক্টর আরও বলেন, ‘ইয়াকুব মোবারক, আপনি আমাদের জন্য, স্কুলের শিশুদের জন্য যা করেছেন আপনাকে সত্যিই ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবকিছুর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।’
শুধু এখানেই শেষ নয়, নতুন ব্যবসা চালুর জন্য ভিক্টরের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছেন ইয়াকুব মোবারক। তিনি স্কুলের জন্য দিয়েছেন ১৫টি নতুন কম্পিউটার। ভিক্টরের প্রতিবন্ধী এক বন্ধুকে দিয়েছেন হুইলচেয়ার। তাছাড়া ভিক্টর ও তার পরিবারকে চলতি বছরের শেষের দিকে বাহরাইন নেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করেছেন তিনি।