দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুর চুল যাতে ঘন ও সুন্দর হয় সেজন্য বারবার তাকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভ্যাস দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। আদি কাল থেকে এটি এক ধরনের রীতিতেও পরিণত হয়েছে!
শিশুর চুল যাতে ঘন ও সুন্দর হয় সেজন্য বারবার তাকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভ্যাস দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। আদি কাল থেকে এটি এক ধরনের রীতিতেও পরিণত হয়েছে!
বাঙালি পরিবারের মধ্যে এমন দেখা যায় সেই আদি কাল থেকেই। বাঙালিরা মনে করেন শিশুর চুল ন্যাড়া করলেই নাকি চুল আরও ঘন হয় এবং ভালো হয়! আসলেও কী তাই? এই বিষয়টিই আজকের প্রতিবেদনের মূল বিষয়।
দেখা যায় জন্মের পরপরই শিশুর মাথা কামিয়ে দিলে আরও ভালো চুল গজায় বলে অনেকেই বিশ্বাস করে। সে কারণে যে চুল গজাবে, তা ঘন এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে বলেও মনে করা হয়।
তবে সত্যিই কি মাথা ন্যাড়া করার সঙ্গে ভালো চুল গজানোর আদতেও কোনো সম্পর্ক রয়েছে? বিজ্ঞান কখনও তা বলছে না। জন্মের সময় শিশুর মাথায় যে চুল থাকে, তা সাধারণত পাতলা এবং নরম হয়ে থাকে। এই চুল এমনিতেও একটা বয়সের পর ঝরে গিয়ে আবার নতুন চুল গজায়। ঠিক যেমন দুধের দাঁত পড়ে গিয়ে নতুন দাঁত গজায়। পরিণত চুল অনেক বেশি মোটা হয়ে থাকে।
প্রকৃত কারণ হলো, কার মাথায় কেমন চুল হবে তা নির্ভর করে ফলিকলস-এর ওপর। আমরা প্রত্যেকেই জন্মের সময় নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলিকলস নিয়ে জন্মে থাকি। ন্যাড়া করা হলেও এই ফলিকলস-এর সংখ্যা কখনও বাড়ে না।
বিজ্ঞান বলছে যে, চুল ঘন হবে নাকি পাতলা হবে, তা তার জিনের ওপর নির্ভর করে। তাই ভালো চুলের আশায় শিশুকে বারবার ন্যাড়া করানো আসলে একটি অর্থহীন বিষয় ছাড়া কিছুই নয়। ন্যাড়া করার পর যে চুল গজায় তার মুখ মোটা হওয়ার কারণে অনেক সময় মনে হয় যে বেশি চুল গজিয়েছে, তবে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলে। এই ধারণাটি আসলে বাস্তব সম্মত নয়। বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী এক কথায় বলা যায়, বার বার চুল কাটলেও চুলের কোনো পরিবর্তন ঘটে না, অর্থাৎ চুল মোটা বা বৃদ্ধি হতে পারে না।