দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাড়ি বাঙালি নারীর প্রধান পরিধেয় বস্ত্র সেটি সুপ্রাচীনকাল থেকেই আমরা দেখে আসছি। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শাড়ির পরার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু শাড়ি পরা এক পুরুষ মনে করেন শাড়ি পুরুষের পোশাক!
শাড়ি বাঙালি নারীর প্রধান পরিধেয় বস্ত্র সেটি সুপ্রাচীনকাল থেকেই আমরা দেখে আসছি। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শাড়ির পরার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু শাড়ি পরা এক পুরুষ মনে করেন শাড়ি পুরুষের পোশাক! মানুষের কী ধরনের রুচি হতে পারে তা হিমাংশু বর্মাকে না দেখলে হয়তো বিশ্বাসই হতো না। সত্যিই বিচিত্র মানুষের রুচি ও পছন্দ। আর তাইতো হিমাংশু বর্মার এই কাণ্ড দেখে ওয়েব দুনিয়া বিস্মিত! মানুষের অভিরুচি এমন হতে পারে?
এই ব্যতিক্রমি কাজটি করেন একজন ভারতীয় পুরুষ হিমাংশু বর্মা। ভারতের এই যুবক রূপান্তরকামীও নন, আবার অভিনেতাও নন। তিনি ভালোবাসেন শাড়ি পরতে। তিনি মনে করেন, শাড়ি মেয়েলি নয়, বরং শাড়ি পূর্ণমাত্রায় পুরুষদেরই পোশাক! তাই গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাড়িই পরেন ভারতের এই পুরুষ ‘শাড়ি ম্যান।’
হিমাংশু বর্মা মনে করেন, শাড়িতে পুরুষত্ব বিন্দুমাত্রও খাটো হয় না! যদি হতো, তাহলে অতীতের কোনো ভারতীয় পুরুষ, পুরুষই ছিলেন না! কারণ সেই সময় মূল্যবান শাড়িই ছিল অভিজাত পুরুষদের অঙ্গাবরণ। বেনারসী হতে মসলিন, শাড়িকেই ধুতির মতো করেই পরতেন রাজবংশীয়রা। এমন যুক্তি দেখান হিমাংশু বর্মা!
হিমাংশু বর্মা ২০০৬ সাল হতে শাড়ি পরছেন। তিনি প্রথমবার পরেছিলেন মায়ের থেকে নিয়ে। তারপরই হিমাংশু বর্মা শাড়ির প্রেমে পড়ে যান। শাড়ি নিয়ে বহু পড়াশোনাও করেছেন তিনি। বিভিন্নভাবে জেনেছেন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের শাড়ির রকমফের। গবেষণায় দেখেয়েছেন, আদি থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত শাড়িকেই বিভিন্ন কায়দায় অঙ্গে জড়িয়েছেন ভারতবাসী, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই!
হিমাংশু বর্মার এই শাড়ি পরার পথটি মোটেও মসৃণ ছিল না। বিদ্রূপ এবং বিরুদ্ধমত সত্ত্বেও আরও আপন করে নিয়েছেন এই শাড়িকেই। তার আলমারিতে রয়েছে একশোর কাছাকাছি শাড়ি। যেখানেই তিনি বেড়াতে যান, কিনেন পছন্দসই শাড়ি।
হিমাংশু বর্মা বিভিন্ন কায়দায় শাড়ি পরেন। সবচেয়ে শাড়ি পরতে ভালোবাসেন গুজরাতি কায়দায়। দৈনন্দিন কাজের জন্য হিমাংশু বর্মার পছন্দসই শাড়ি হলো ‘ঠাকুরবাড়ি স্টাইল’ ও দক্ষিণী কেতা।