দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ব্যতিক্রমি রেস্তোরাঁ। যে রেস্তোরাঁয় পুরুষ হলেই দিতে হয় বাড়তি বিল! আপনি হয়তো ভাবছেন সেটি আবার কেমন রেস্তোরাঁ? অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের এমন একটি রেস্তোরাঁর নাম ‘হ্যান্ডসাম হার’।
এই রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করলেই প্রথমে চোখে পড়বে দুপাশে ইটের ওপর দাঁড় করানো রয়েছে একটি কালো বোর্ড। এই বোর্ডে লেখা রয়েছে রেস্তোরাঁর নিয়মাবলী। তাতে উল্লেখ করা রয়েছে যে, নারী গ্রাহকরা আগে সেবা পাবেন এবং পুরুষ গ্রাহকরা পরে সেবা পাবেন। শুধু আগে পরেই নয়, নির্ধারিত দামের তুলনায় পুরুষ গ্রাহকদের ১৮ শতাংশ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয়!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, সম্প্রতি এই রেস্তোরাঁটি চালু হয়েছে। রেস্তোরাঁটির ব্যবস্থাপক বেলে নিয়েন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় নারীদের থেকে পুরুষরা প্রায় ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি আয় করে থাকেন। মেয়েদের আয়ের এই ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিমাসের মাত্র একটি সপ্তাহ এই নিয়মটি চালু থাকে এই রেস্তোরাঁতে। এভাবে পুরুষ গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া বাড়তি অর্থ নারীদের জন্য কাজ করে এমন দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে।
এই রেস্তোরাঁটি চালু হওয়ার পরপরই এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এই ব্যবস্থাকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করলেও অধিকাংশ মানুষ এমনকি পুরুষরাও এই ব্যবস্থার বেশ প্রশংসা করেছেন।
রেস্তোরাঁর মালিক অ্যালেক্স ও’ব্রায়েন ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন যে, ‘হ্যান্ডসাম হার অনেক রেস্তোরাঁর চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বলে বেশি গ্রাহক এখানে খেতে আসবে। অনেক গ্রাহকই ১৮ শতাংশের বেশি অর্থও দিয়ে থাকেন। তবে এই অর্থ দিতে না চাইলে তাকে অন্য কোথাও যেতে হবে। আমরা মানুষের মন পরিবর্তনের জন্য ব্যবসা করছি না। রেস্তোরাঁ তো অনেক রয়েছে।’
রেস্তোরাঁটির ব্যবস্থাপক বেলে নিয়েন বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত বেশি অর্থ দিতে কোনো পুরুষ অস্বীকার করেননি। ১৮ শতাংশ শুনতে অনেক বেশি মনে হলেও ডলারে আসলে খুব একটা বেশি বিল নয়। যেমন ধরুন, আমাদের রেস্তোরাঁয় কফির দাম পড়ে ৪ ডলার। ১৮ শতাংশ বেশি হলে বেশি হলে একজন পুরুষকে দিতে হয় ৭২ সেন্ট। নারীদের জন্য একটা ভালো অবস্থান সৃষ্টি করতে সামান্য বেশি অর্থ দিলে কারোরই কোনো ক্ষতি হওয়ার কথায় না।’ রেস্তোরাঁটির ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালুর পরও আমাদের রেস্তোরাঁয় ভিড় জমেই থাকে।