দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার বিজ্ঞানীরা বিস্ময়কর এক জীবের তথ্য দিয়েছে! এই জীবটি দেখতে ছত্রাকের মতো তবে আচার-আচরণে, চলনে-বলনে এবং স্বভাবে-চরিত্রে একেবারেই প্রাণীর মতোই!
এবার বিজ্ঞানীরা বিস্ময়কর এক জীবের তথ্য দিয়েছে! এই জীবটি দেখতে ছত্রাকের মতো তবে আচার-আচরণে, চলনে-বলনে এবং স্বভাবে-চরিত্রে একেবারেই প্রাণীর মতোই!
নতুন এই আবিষ্কৃত জীবটিকে ঘিরে বিজ্ঞানীরা রীতিমতো ধাঁধার মধ্যে পড়েছেন। তবে এটি যে উদ্ভিদ নয়, সে বিষয়েও তারা নিশ্চিত হয়েছেন। বাহ্যিক গড়নে এটি মাশরুম, অভ্যন্তরে প্রাণীসদৃশ এটি। সেই কারণে আবিষ্কারকরা রহস্যজনক এই জীবটির নাম দিয়েছেন ‘ব্লব’।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্যারিসের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছেন রহস্যময় এই জীবটিকে। এককোষী এই জীবটির ‘মস্তিষ্ক’ বলে কিছুই নেই, চোখও নেই, মুখ নেই, এমনকি পেটও নেই এটির। তবে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ঠিকই টের পায়, আবার খিদেও পায় এই জীবটির। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, ব্লবের খাবার চিনতে কখনও ভুল হয় না। শুধু খাবার চেনা তাই নয়, বেমালুম হজমও করে ফেলে সেই খাবার!
বিস্ময়ের শুধু এখানেই শেষ নয়! পা নেই ও ডানা নেই তবুও নিজের মতো করে চলাফেরাও করে আজব এই জীবটি। কেটে দু’টুকরো করে ফেললেও মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই আবারও পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে এই জীবটি। বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়েছেন, ব্লবের প্রায় ৭২০ রকমের সেক্স দেখে!
প্যারিস মিউজিয়াম অফ ন্যাচরাল হিস্ট্রির ডিরেক্টর ডেভিড ব্রুনো সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এই জীবটিকে ‘প্রকৃতির রহস্য’ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। তিনি বলেন, ব্লবের মস্তিষ্ক নেই তবে শেখার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এই জীবের। একজন যা শেখে, অপরজনের মধ্যে সেই বার্তা আবার পৌঁছেও দেয়!
ডেভিড ব্রুনো আরও বলেন, এটি যে আসলেও উদ্ভিদ নয়, সেই বিষয়ে আমরা একশ’ ভাগ নিশ্চিত। তবে এটি ফাংগাস না প্রাণী সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও জানা যায়, ইয়াং স্টিভ ম্যাককুইন অভিনীত ১৯৫৮ সালের সায়েন্স-ফিকশন হরর বি-মুভির এক এলিয়েন ‘দ্য ব্লব’-এর নামানুসারে এই এককোষী জীবটির নাম দেওয়া হয়েছে ব্লব। গত ১৯ অক্টোবর হতে প্যারিস জুলজিক্যাল পার্কে সর্বসাধারণের জন্য অদ্ভুদ এই জীবটি প্রদর্শিত হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়।