দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক প্রযুক্তি যেমন আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছে সেই সঙ্গে কিছু ঘটনা বিড়ম্বনার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন এবার বিমানের টয়লেটে গোপন ক্যামেরা রাখার অভিযোগ উঠেছে! এই ঘটনায় মামলাও হয়েছে। মূলত ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাটি বেশ পুরোনো হলেও বিচার কার্য শুরু হওয়ায় সম্প্রতি বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে ঘটনাটি।
আধুনিক প্রযুক্তি যেমন আমাদের অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছে সেই সঙ্গে কিছু ঘটনা বিড়ম্বনার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন এবার বিমানের টয়লেটে গোপন ক্যামেরা রাখার অভিযোগ উঠেছে! এই ঘটনায় মামলাও হয়েছে। মূলত ঘটে যাওয়া ওই ঘটনাটি বেশ পুরোনো হলেও বিচার কার্য শুরু হওয়ায় সম্প্রতি বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে ঘটনাটি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বিমানের টয়লেটে গোপন ক্যামেরা রাখার অভিযোগে দুই পাইলট ও ওই এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রিনি স্টেইনাকের নামে ওই বিমানেরই এক বিমানবালা।
মামলা সূত্রে বলা হয়েছে যে, রিনি স্টেইনাকের ২০১৭ সালে মার্কিন সাউথ-ওয়েস্ট এলারলাইন্সের বিমানবালা ছিলেন। বিমানের প্রধান পাইলট টেরি গ্রাহাম একদিন ফ্লাইট চলাকালীন তাকে ককপিটে ডাকেন। তিনি সেখানে গেলে টয়লেটে যাবেন বলে তাকে কিছুক্ষণ এখানে বসতে বলেন পাইলট। কারণ ওই এয়ারলাইন্সের নিয়মানুযায়ী ফ্লাইট চলাকালীন ককপিটে দুই জন কর্মকর্তাকে অবশ্যই থাকতে হবে। পরে তিনি ককপিটে বসেন। তার সঙ্গেই ছিলেন সহকারী পাইলট রিয়ান রাসেল।
ককপিটে থাকাকালীন হঠাৎই স্টেইনাকের খেয়াল করেন যে একটি আই-প্যাড, যেখানে টয়লেটের চিত্র লাইভ দেখা যাচ্ছে। তখনই তিনি বুঝতে পারেন টয়লেটে গোপন ক্যামেরা রাখা রয়েছে। বিষয়টি তিনি তখনই ককপিটে থাকা সহকারী পাইলট রাসেলকে জানান। তখন সহকারী পাইলট রাসেল তাকে ব্যাপারটি গোপন করতে বলেন। স্টেইনাকেরকে সে আরও জানান, নিরাপত্তার কারণেই নাকি টয়লেটে গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
এই ঘটনায় ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের মারিকোপা কাউন্টির আদালতে সেই সময়ই মামলা দায়ের করেছিলেন স্টেইনাকের। সম্প্রতি মামলাটি অ্যারিজোনা জেলা আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনও শুনানির দিন ধার্য হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
অপরদিকে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওই দুই পাইলট ও সাউথ-ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি তাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর একটা অপচেষ্টা মাত্র।