দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জামায়াতে ইসলামী ও গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা সকাল সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল শুরু হয়েছে।
অব্যাহতভাবে সরকারের হত্যা, সন্ত্রাস, গণগ্রেফতার, গণনির্যাতনের প্রতিবাদে ও জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে আজকে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। আজকের এই হরতাল দাড়িয়েছে পক্ষ-বিপক্ষের হরতাল।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আদালতে গোলাম আযমের রায় ঘোষণার দিন গতকাল সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াত। হরতালের আগের দিন রোববার দুপুরে ওই ঘোষণার পর থেকেই রাজধানী জুড়ে নাশকতা শুরু করে তারা।
সোমবার দলটির ডাকে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে কয়েকটি জেলায় ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করে হরতাল-সমর্থক জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হরতাল-সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষে জামায়াত ও শিবিরের দুজন কর্মী নিহত হন। আহত হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন উপ-অধিনায়ক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অন্তত ১৫ সদস্য। কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়ক অবরোধের সময় ‘গণপিটুনিতে’ নিহত হন শিবিরের ২ জন কর্মী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে পাঁচটি অভিযোগে জামায়াতের ইসলামীর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের সর্বমোট ৯০ বছরের বা আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ রায় প্রত্যাখান করে গোলাম আযমের ফাঁসির সাজার দাবিতে হরতাল ডেকেছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির (ফাঁসি) দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চ। সংগঠনটি জানিয়েছে মঙ্গলবারের হরতালে ঢাকার ২০ পয়েন্টে অবস্থান নেবে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। মূল পয়েন্ট হিসেবে ধরা হবে শাহবাগের গণজাগরণ চত্ত্বর।