দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিবাহ বিচ্ছেদ মানেই অসহনীয় এক পৃথিবী, তবে বিবাহ বিচ্ছেদ মানেই ‘জীবনের শেষ’ এ রকম মনে করেন না মৌরিতানিয়ার নারীরা। তাই বিচ্ছেদের পর ওই নারীর সৌজন্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পরিবার!
স্বামীর ‘যন্ত্রণা’ পেরিয়ে মেয়েরা নিজের ঘরে আরেকবার ফিরে আসার সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে বিচ্ছেদেও যেনো উদ্যাপন করা হয় আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
পরিবারের সব সদস্যরাই বিষয়টি স্বাভাবিক চোখেই দেখে থাকেন। তারা মনে করেন যে, ভালোর জন্যই মেয়ে আবারও পরিবারে ফিরে এসেছেন। এই ফিরে আসাকে তারা ‘কলঙ্কমুক্ত’ জীবনের সুযোগ হিসেবেও দেখে থাকেন। তাই একটি ব্যর্থ সম্পর্কের ইতি ঘটায় তারা আনন্দের জোয়ারে ভেসে যান। পাড়া বা গ্রামের অন্যরাও সেই আনন্দে শামিল হন। সব আয়োজন শেষ হলে বিচ্ছেদী নারী তখন অবিবাহিতদের কাতারে চলে যান!
ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে ফেরেন নারীরা। ফেরার দিন মা ও বোনেরা জাগুরতার (আনন্দের কান্নাকাটি) শব্দে মেয়েকে স্বাগত জানানো হয়। এই সময় চারদিক ভেসে ওঠে যেনো এক সুরের মূর্ছনায়।
পরিবারে আয়োজন শেষ হলে তার বান্ধবীরা গানের আসর বসিয়ে মজমা বসান। সেখানে নতুন কবিদের আমন্ত্রণও জানানো হয়। তারা নতুন জীবনে ফেরা নারীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করে আবৃত্তিও করেন। কোনো কোনো অঞ্চলে নারীর বিচ্ছেদ উদ্যাপন করতে অবিবাহিত কোনো ছেলেকে আমন্ত্রণও জানানো হয়।
এর একটিই উদ্দেশ্য আর তা হলো ডিভোর্স দেওয়া স্বামীর হিংসা জাগানো। তিনি কীভাবে এমন ‘সুন্দর’ একজন মেয়েকে অকাতরে ডিভোর্স দিতে পারলেন, সেই কথা এই পার্টির মাধ্যমে তাকে জানানো হয়ে থাকে অর্থাৎ এটি স্বামীকে একটি বার্তা দেওয়া।
মৌরিতানিয়ার পুরুষরা ডিভোর্সি নারীকে অবিবাহিত নারীদের মতোই মনে করে থাকেন। এসব নারীকে অনেকেই কবিতাতেও তুলে ধরেন। সন্ধ্যার পর আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা কবিতার আসর বসিয়ে থাকেন। সেখানে তিনবার বিশেষ চা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রথমবারের চা একটু তেতো স্বাদের হয়। পরের দুইবার মিষ্টি চা। এই আসরে তরুণ লেখকরা উপস্থিত সকলকে কবিতা পড়ে শোনান।
মৌরিতানিয়ার মানুষের জীবনে কবিতার ব্যাপক প্রভাব বিদ্যমান। অল্প বয়স হতে শিশুদের কবিতা লেখার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। সিনট্যাক্স, মরফোলজি, ইনফ্লেকশন-সহ সাহিত্যের খুঁটিনাটি সব শেখানো হয় শিশুদের। শেখানো হয় বক্তৃতার নানা কৌশলও।
বিচ্ছেদের পর নারীরা ভালো থাকলেও পুরুষদের ঘটে বিপত্তি। ডিভোর্সি পুরুষকে নারীরা আর বিয়ে করতে চায় না। অপরদিকে ডিভোর্সি নারীকে ‘অভিজ্ঞ’ মনে করে থাকে অবিবাহিত পুরুষরা। তাদের ধারণা যে, যার ডিভোর্স হয়েছে সে সংসার সম্পর্কে ভালোই বোঝে। সব সামাল দেওয়ার ক্ষমতা তাদের বেশি।
মৌরিতানিয়ার ২০১৮ সালের এক সরকারি রিপোর্টে দেখা যায় যে, এক তৃতীয়াংশ বিয়েই ডিভোর্সের পরিণতি পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশ নারীই আবার বিয়েও করেছেন। ১৯ শতাংশ বিয়েই করেনি। ৭ শতাংশ নারী তিন কিংবা তার বেশি বারও বিয়ে করেছেন!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।