দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের ত্রিপুরা সরকার ঘোষণা করেছে যে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে সেই পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা তিন কিস্তিতে মিটিয়ে দেবে। প্রথম দুই কিস্তি হবে তিন লক্ষ টাকা করে এবং শেষ কিস্তিতে বাকি চার লক্ষ।
কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ত্রিপুরায় কোভিডে ৮৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের তালিকাও সংগ্রহ করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য মুখ্য সচিবকে নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে মাসে ওই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা অনুযায়ী, সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি চিকিৎসক, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মী, প্যারামেডিকস, সাংবাদিক, পুলিশ, সাফাইকর্মী, আইসিপি স্টাফ, আশা কর্মী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীর পরিবারও এই টাকা পাবেন।
এই বিষয়ে ত্রিপুরা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তাপস দে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে টাকা পৌঁছানোর পরই মুখ্যমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস হবে। কারণ এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সরকার ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার দিয়েছিল। তবে কখনই তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবারও ঘোষণার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি কাওকে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।