দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তর ইথিওপিয়ার টিগ্রেতে গত এক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) ভয়ংকর লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির সরকার টিগ্রের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ।
টাইগ্রে অঞ্চলের এমন এক সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে সেখানে ১০৪ জন পোশাক শ্রমিক আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারে সরকারের সহায়তা চেয়েছে নিয়োগকারী কোম্পানি।
গণমাধ্যমকে ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমাদের কারখানা চত্বরে ইতিমধ্যে বোমা হামলা হয়েছে। এখন ওই অঞ্চল হতে বাংলাদেশী পোশাককর্মীদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা দরকার।
একটি গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, তাদের কর্মীরা এখনও নিরাপদে রয়েছেন। তবে বিরোধপূর্ণ এলাকা হতে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া দরকার। সে জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধও করেছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং গণমাধ্যমগুলোর পক্ষ হতে বলা হয়েছে, ট্রাইগ্রের পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এতে যেকোনো সময় সহিংসতা আরও বাড়তে পারে।
অপরদিকে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, দূতাবাসের পক্ষ হতে নিয়মিতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাও দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে আটকা পড়া শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে শ্রমিকদের নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডয়চে ভেলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরেই টিগ্রের দখল নিয়ে ইথিওপিয়ার সরকারি সেনা এবং টিপিএলএফের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে কয়েকশ লোকের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার গণমাধ্যম।
খবরে বলা হয়েছে যে, এর আগেও ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফেডারেল বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। তবে এতো লোকের মৃত্যুর খবর কখনও পাওয়া যায়নি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।