দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চেহারা খারাপ হওয়ায় তিনি বেশ সমস্যায় পড়েন। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েও মানুষের হাসির খোরাক হয়েছিলেন তিনি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সার্জারি করে চেহারা বদল করবেন!
তিনি একদিন গিয়েছিলেন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। দেখতে খারাপ হওয়ায় অনেকেই তাকে দেখে নাকি হাসাহাসি করেন।নিজেকে এভাবে ‘হাসির পাত্র’ হতে দেখে খুব খারাপ লেগেছিল তার। সে কারণেই টানা ৯ বার প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের মুখের আদল পরিবর্তন করে ফেললেন ভিয়েতনামের জনৈক যুবক ডো কোয়েইন।
২৬ বছর বয়সী ডো কোয়েইন টিকটক অ্যাকাউন্টে নিজের আগের ছবি ও ৯টি প্লাস্টিক সার্জারির পর বর্তমান ছবি পোস্ট করেছেন। সেটি দেখার পর অবাক হয়ে যান নেটিজেনরা। কারণ ছবিগুলো একেবারেই ভিন্ন ভিন্ন রকমের। যে কারণে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
শেষপর্যন্ত ডো নিজেই সত্যিটাও জানান নেটিজেনদের। একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখতে খারাপ হওয়ায় সবাই তাকে উপহাস করেন। সে কারণেই প্লাস্টিক সার্জারি করার বিষয়ে মনস্থির করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ডং। ৯টি প্লাস্টিক সার্জারি করান। যার মধ্যে ছিল রিনোপ্লাস্টি, চিবুক, ঠোঁটের অস্ত্রোপচার। এছাড়াও করিয়েছেন চোখের জন্য ডাবল আইলড সার্জারি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছেন, এই অস্ত্রোপচারের পুরো টাকাই নিজের সঞ্চয় হতে ব্যয় করেছেন তিনি। প্রথমবার অস্ত্রোপচারের পর কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডো জানিয়েছেন, ‘প্রথমবার অস্ত্রোপচার করিয়ে বাড়ি আসার পর আমার মা-বাবাও আমাকে যেনো চিনতে পারেননি।’ তবে এই ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি করায় কিছুটা অনুতপ্ত তিনি। তবে বাধ্য হয়েই এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন ভিয়েতনামের ডো কোয়েইন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।