দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ সমার্থক। ভারতের রাজস্থানে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এমন উল্লেখ করার জেরে চরম বিপাকে রাজস্থান পাঠ্যবই পর্ষদ ও একটি বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা।
এই দুটি সংস্থার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর করেছে জয়পুর পুলিশ। পাশাপাশি অলদ জয়পুরের সেই প্রকাশনা সংস্থায় ভাঙচুরের অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ও ১২০-বি ধারায় এই এফআইআরটি দায়ের করেছেন রাজস্থান মুসলিম ফোরামের নেতা মহসিন রশিদ। ঘটনাচক্রে অভিযোগকারী রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের একজন নেতা।
সালামের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সংযোগ ঘটানো, মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসে অপমান, আঘাত ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বৃহস্পতিবার জয়পুর থানায় এই মামলাটি করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় রাজস্থান স্টেট টেক্সটবুক বোর্ড, সঞ্জিব পাসবুক পাবলিকেশনের স্বত্বাধিকারী এবং লেখকসহ মোট ১৪ জনকে।
রাজস্থান স্টেট টেক্সটবুক বোর্ড ও সঞ্জিব পাসবুক পাবলিকেশন দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বইটি প্রকাশ করে। রাজস্থানের সাবেক বিজেপি রাজ্য সরকারের আমলে এটি পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় বলেও খবরে বলা হয়েছে। দেশটির রাজ্যে বর্তমানে কংগ্রেস পার্টির সরকার রয়েছে। বইটি এখনও সরকারি স্কুলগুলোর পাঠ্যক্রমের অংশ।
কংগ্রেস পার্টির রাজস্থান শাখার ‘রাজস্থান মুসলিম ফোরাম অ্যান্ড মাইনরিটি সেল’-এর সমন্বয়ক মহসিন রশিদ এই অভিযোগটি দায়ের করেন।
তুরস্কের আনাদুলু এজেন্সিকে মহসিন রশিদ বলেছেন, এর আগে তারা বিএড কোর্সেও ইসলামি সন্ত্রাসবাদ অন্তর্ভুক্ত করেছিল। এখন আবার দ্বাদশ শ্রেণীতে ইসলামের বিরুদ্ধে পড়ানো হচ্ছে। মুসলিমদের প্রতি অনাস্থা তৈরি ও ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতেই এই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করে ও ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদ’ শব্দযুগল ব্যবহার করে বইটিতে মুসলিম শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়কে উত্তেজিত এবং প্ররোচিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করা হয়েছে।
রশিদ বইটির লেখক ও প্রকাশককে বিচারের আওতায় আনা ও ‘সিলেবাসভুক্ত বইটি হতে তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘৃণ্য উপাদান সরিয়ে ফেলার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
কী রয়েছে ওই বইটিতে
রাজনীতিবিজ্ঞানের এই পাঠ্যবইতে এক প্রশ্নে বলা হয়, ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদ কী?’ তার উত্তরে বলা হয়েছে, ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে ইসলামের একটি আকার, যা গত ২০/৩০ বছরে অধিকতর শক্তিশালী হয়েছে।’ এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ‘বর্বরতা, ব্ল্যাকমেইল, জোরপূর্বক চাঁদাবাজি ও ধর্মের নামে নির্মম হত্যাকাণ্ড ইসলামী সন্ত্রাসবাদের এক বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।