দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বনের পশুও এখন আইনের আওতায় আসছে। এবার এমন একটি খবর অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। এবার ভাল্লুককে মধু চুরির মামলায় আসামী করা হয়েছে!
এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইউনান প্রদেশে। সেখানে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে একটি কালো ভাল্লুককে! ওই অঞ্চলের সংরক্ষিত প্রাকৃতিক মৌ-চাষ কেন্দ্র এবং সংগ্রহশালা হতে মধু চুরি করার সময় ইনফ্রারেড ক্যামেরায় চিহ্নিত হয় ওই ভাল্লুকটি। চিহ্নিত হওয়ার পর প্রধান আসামির তালিকায় নাম উঠে আসে ভাল্লুকটির!
জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে মধু চুরির পর কাছেই একটি গাছে গোপন ক্যামেরাটি স্থাপন করে চুরির ঘটনা রেকর্ড করা হয়। প্রাকৃতিক মৌ-চাষ কেন্দ্রটির কর্মীরা চুরির ঘটনাটি রেকর্ড করা একটি ইনফ্রারেড ক্যামেরার ফুটেজ খুঁজে ধরতে পারেন। ফুটেজ দেখে ‘চোর’ কে তা শনাক্ত করেন কর্মীরা এবং ওই ফুটেজ দেখিয়ে মামলাটির নিষ্পত্তি হয়।
ফুটেজে দেখা গেছে যে, ভাল্লুকটি তার মুখ দিয়ে মৌ-বাক্সের ঢাকনা খুলে ফেলছে। এমন সময় মৌমাছির ঝাঁক বাইরে বের হয়ে এলে পালিয়ে যায় ভাল্লুকটি। মৌমাছিরা পালিয়ে গেছে নিশ্চিত হওয়ার পর আবার ফিরে আসে ভাল্লুকটি। এরপর ভাল্লুকটি মধুভর্তি কাঠের পিপে নিয়ে পালিয়ে যায়।
কেন্দ্রটির কর্মীরা এর পূর্বে কালো ভাল্লুকটির পায়ের ছাপ পেলে তাদের সন্দেহ হয়। মৌমাছিশালার কাছে পিপের মধ্যে ভাল্লুকের মলও পাওয়া যায়। তবে এই মামলাটির নিষ্পত্তি হচ্ছিল না প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে।