দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্য্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)’র ২০২২-২৩ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলো প্যানেল ‘ওয়ান টিম’।
১১টি পরিচালক পদের মধ্যে মোট ৬টি পদে ওয়ান টিম ও ৪টি পদে জয় পেয়েছে সিনার্জি স্কোয়াড টিম, অপর একটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জয়ী হন সৈয়দ এম কামাল।
রাজধানীর গুলশানে শুটিং ফেডারেশেনে গতকাল (রবিবার) অনুষ্ঠিত নির্বাচন শেষে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।
ওয়ান টিমে যারা জয়ী হলেন
ওয়ান টিমে’র বিজয়ী সদস্যরা হলেন প্যানেল নেতা টিম ক্রিয়েটিভের রাসেল টি আহমেদ, গিগা টেকের সামিরা জুবেরী হিমিকা, এনরুট ইন্টারন্যাশনালের আবু দাউদ খান, টেকনোগ্রামের এ কে এম আহমেদুল ইসলাম, পাঠাওয়ের ফাহিম আহমেদ ও অ্যাসোসিয়েটে ড্রিমার্জ ল্যাবের তানভীর হোসেন খান।
সিনার্জি স্কোয়াড প্যানেলে জয়ী হলেন যারা
অপরদিকে সিনার্জি স্কোয়াড প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন প্যানেল নেতা টেকনো হ্যাভেনের হাবিবুল্লাহ এন করিম, অ্যাডভান্সড ইআরপির মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, স্পেকট্রাম সফটওয়্যার অ্যান্ড কনসাল্টিংয়ের মুশফিকুর রহমান ও ড্রিম৭১ বাংলাদেশের রাশাদ কবির ।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সদস্য ক্যাটাগরিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন সৈয়দ এম কামাল। এবারের নির্বাচনে ২ বছর মেয়াদের জন্য ১১ পদে মোট ২৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়েছেন। ভোট গ্রহণ চলে সকাল ১০টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
বেসিসের মোট ১৮১৬ জন সদস্যদের মধ্যে এবার ভোটার ছিলো ৮৭৬ জন সদস্য। জেনারেল ক্যাটাগরিতে ভোটার ছিলেন ৬৫৪ জন, অ্যাসোসিয়েটে ভোটার ছিলেন ১৮২ জন, এবং অ্যাফিলিয়েটে ৩৭ জন। অপরদিকে আন্তর্জাতিক সদস্য ভোটার রয়েছেন ৩ জন।
উল্লেখ্য, ভোটারদের আগ্রহ দেখা যায় নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে রাজধানীর হোটেল রেডিশনে। শুক্রবার হোটেল রেডিসনে ৫০০ এর বেশি সদস্য যোগ দেন এবং তারা ওয়ানটিমকে ভোট দিয়ে জয়ী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ‘এভরি মেম্বার ম্যাটার্স’-শ্লোগান নিয়ে দেশে ও বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আইসিটি সক্ষমতাকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া প্যানেল ‘ওয়ান টিম’ পুরো প্যানেলে জয়ী না হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। যা এই সফটওয়্যার সেক্টরকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।