দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক কৃষক শস্যক্ষেতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ দেখেন ঠাণ্ডায় কষ্ট পাচ্ছে দুটি ‘বিড়াল ছানা’। পরম যত্নে বাসায় নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর তার ভুল ভাংলো, দেখলেন বিড়াল ছানা ভেবে তিনি ঘরে তুলেছেন একজোড়া চিতাবাঘের বাচ্চা!
এমন একটি ঘটনাই ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার বাজরিখেড়া গ্রামে। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, কিরণ গিরি নামে ওই কৃষক বিড়াল ছানা ভেবে বাঘের বাচ্চাগুলিকে খাইয়ে-দাইয়ে সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তবে একদিন শাবকদের ডাক শুনে চমকে যান তিনি। কারণ, সাধারণত বিড়াল যেভাবে ডাকে, শাবকদের স্বর মোটেও তেমন ছিল না। বরং তা অনেকটাই ছিল গর্জনের মতোই। আওয়াজ শুনেই সন্দেহ হয় কিরণ গিরির। ভালো করে খেয়াল করতেই তিনি বুঝতে পারলেন, তিনি আসলে ঘরে এনে তুলেছেন একজোড়া চিতাবাঘের বাচ্চা! তারপর তিনি দ্রুত বন বিভাগকে খবর দেন।
বন বিভাগের কর্মীরা এসে কিরণের বাড়ি থেকে বাচ্চা দু’টিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন। তবে বাচ্চা দু’টির শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় তাদের পরে মৃত্যু ঘটে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায় যে, ওই জেলায় প্রায়ই চিতাবাঘের আনাগোনা ঘটে। অনেক সময় লোকালয়ে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের হাতে মৃত্যুও ঘটে চিতাবাঘের।
উল্লেখ্য যে, ভারতে সবচেয়ে বেশি চিতাবাঘ অবস্থান হলো মধ্যপ্রদেশে। ৩ হাজার ৪২১টি চিতাবাঘ রয়েছে এই রাজ্যটিতে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।