দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বন্যার কারণে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। গত ১৯ জুন এই পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার কারণে স্থগিত করা হয় পরীক্ষা। তবে এই এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আবার কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে সেটিও এখন অনিশ্চিত। কারণ শুধু সিলেট ও সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি খারাপ তা নয়, দেশের উত্তরাঞ্চলেও দেখা দিয়েছে বন্যা। বেশ কয়েকটি জেলা ইতিমধ্যেই বন্যার পানিতে ভাসছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে বহু স্কুল-কলেজ। যে কারণে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। আর এমন এক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণও সম্ভব হবে না। এমন একটি পরিস্থিতিতে আসলে এসএসসি পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়েও আশংকা রয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীরাও বেশ আশংকার মধ্যে রয়েছে। এতোদিন পড়ালেখা করে যে প্রস্তুতি তারা গ্রহণ করেছিলো এখন সেগুলোও এখন ভুলে যাচ্ছে। বিগত দুই বছর তারা লেখাপড়ার বাইরে ছিলো বলা যায়। যদিও অনলাইনে কিছুটা পড়ালেখা হয়েছে, তবে তা ছিলো নিতান্তই সামান্য। কোচিং সেন্টার বা স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়াও বন্ধ ছিলো করোনার ভয়াবহতার কারণে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর গত আড়াই তিন মাস হলো স্বাভাবিকভাবে স্কুল ও কোচিংগুলোতে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলো শিক্ষার্থীরা। এই সামান্য সময়ের প্রস্তুতিও এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। তাছাড়া বর্তমান সময় আধুনি প্রযুক্তির যুগ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফেসবুকসহ নানা সোসাল মিডিয়ায় লিপ্ত থাকার বদ অভ্যাসও রয়েছে। যে কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়ে খুব একটা লাভ হয়নি তাদের। বরং ক্ষতিই হয়ে গেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশের উপরে কারই হাত সেই সেটি মেনেও নিতে হচ্ছে সকলকেই। তবে যতো শীঘ্র সম্ভব পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া উচিত।
এই বিষয়ে একজন অভিভাবক জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেনো আমাদের পিছু ছাড়ছে না। করোনা কমতে না কমতেই আবার বন্যা এসে শিক্ষার্থীদের ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। এমনিতেই বর্তমানে প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা হতে বিমুখ করেছে। তারপরও যেটুকু প্রস্তুতি তারা নিয়েছিলো সেগুলোও নষ্ট হতে চলেছে। যে কারণে আমরা চরমভাবে চিন্তিত। কবে নাগাদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেটি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।
করোনা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে যতোখানি ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তার থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়। বহু প্রাইভেট স্কুল-কিন্ডার গার্ডেন বন্ধ হয়ে গেছে। বহু শিক্ষক বেকার হয়ে গেছেন। এক কথায় বলা যায়, করোনার কারণে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
এখন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রত্যাশা বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্যাব না দিয়ে টানা শর্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করা হোক। সেই প্রত্যাশায় দিন গুণছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।