দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন সি স্বাস্থ্যের জন্য কতোখানি উপকারী, তা অনেকেরই অজানা। তবে এই ভিটামিন নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণাগুলো আমাদের মধ্যে প্রচলিত, সেটি জানা দরকার।
মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-এর কোনো বিকল্প নেই। শরীরের খেয়াল রাখতে, ত্বকের যত্নে, বিভিন্ন সংক্রমণের সঙ্গে লড়তেও এই ভিটামিন মহৌষধি বলা যায়। প্রতিদিন পাতে যদি থাকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, অনেক রোগ-বালাই আপনার থেকে দূরে থাকবে। শরীরের দেখভাল করে এই ভিটামিন সি। এক কথা বলা যায় একটি অপরিহার্য পুষ্টি হলো এই ভিটামিনটি।
ভিটামিন সি দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে থাকে। শরীরের বেশ কিছু হরমোন তৈরিতেও এই ভিটামিন সি অপরিহার্য। পুরুষ ও মহিলা ভেদে ভিটামিনের সি খাওয়ার পরিমাণ অবশ্য পৃথক হয়ে থাকে। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ দিনে ৯০ মিলিগ্রামের মতো ভিটামিন সি খেতে পারেন। আর মহিলারা সেখানে খেতে পারেন ৭৫ মিলিগ্রাম। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাদের ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়াটা জরুরি। তবে এই ভিটামিন সি খাওয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণাও অনেকের মুখে মুখে শোনা যায়।
সেগুলো তাহলে কী কী?
# সর্দি-কাশি হলে অনেকেই ভিটামিন সি-এর ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। ধারণা করা হয়, এতে নাকি দ্রুত কমে যাবে ঠাণ্ডা লাগা। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। ভিটামিন সি সংক্রমণ প্রতিরোধেও কার্যকর। এটি রোগপ্রতিরোধেও সহায়তা করে। তবে মুহূর্তের মধ্যেই জ্বর, সর্দি-কাশি কমিয়ে দিতে পারে- তা নয়।
# তবে সব টকজাতীয় ফলই কিন্তু ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস নয়। এটি ঠিক যে টক ফলে ভিটামিন সি বিদ্যমান। তবে কমলালেবু কিংবা অন্যান্য টক ফলের চেয়ে ভিটামিন সি বেশি থাকে কাঁচা মরিচে। ভিটামিন সি পেতে শুধু সিট্রাস ফলের উপরই নির্ভর করে থাকা মোটেও ঠিক নয়।
# অনেকেই মনে করেন এই ভিটামিন সি চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। আদৌ কতোটা সত্যি এই ধারণা? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি আংশিক সত্যি। কারণ হলো শুধু ভিটামিন সি-তেই লম্বা চুলের রহস্য লুকিয়ে আছে – তা কিন্তু নয়। চুল বড় করতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মানাটাও জরুরি। সেই সব না করে ভিটামিন সি-এর ব্যবহারে বড় চুলের স্বপ্ন পূরণ হবে না কখনও। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।