দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিডনিতে পাথর জমার অনেকগুলো কারণ থাকে। যারমধ্যে অন্যতম হলো কিছু খাবার। ঝুঁকি এড়াতে সেইসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
সাধারণত কিডনিতে পাথরের সমস্যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। অস্বাস্থ্যকরভাবে জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, পানি কম খাওয়ার অভ্যাসের মতো বহু কারণে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। কিডনি মানবদেহের অন্যতম একটি অঙ্গ। কিডনি একদিকে দেহের বর্জ্য পদার্থ পরিশুদ্ধ করে। অপরদিকে বিভিন্ন খনিজ লবণের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে কিডনির অসুখ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতেই থাকে অপরটি দিয়ে। যে কারণে ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকে আঁচ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। কিডনির প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পূর্বে সে সম্পর্কে খুব একটা সচেতন হন না অনেকেই। কিডনি ভালো রাখতে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে বিশেষ সচেতন হওয়াটা জরুরি। কিডনি ভালো রাখতে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? আজ সেটিই জেনে নিন।
# এই তালিকা হতে আপনাকে প্রথমেই বাদ দিতে হবে মুলোর শাক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট। অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি করে থাকে। যে কারণে মুলোর শাক বেশি না খাওয়াই ভালো।
# ঠাণ্ডা-পানীয়, প্যাকেট-বন্দি ফলের রস, অতিরিক্ত চিনি দেওয়া পানীয় এড়িয়ে চলা দরকার। এইগুলোও কিডনিতে পাথর তৈরিতে ইন্ধন জোগায়।
# আবার পরিবারের কারও কিডনিতে পাথরের সমস্যা হয়ে থাকলেও বেশি মাত্রায় সাবধান হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই কমাতে হবে লবণ খাওয়ার পরিমাণ। বিশেষ করে কাঁচা লবণ অর্থাৎ টোকা লবণ একেবারেই এড়িয়ে চলুন।
# প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফি কিংবা চা খাওয়াও মোটেও ভালো নয়। দিনে এক থেকে দু’কাপ পর্যন্ত স্বাভাবিক। দীর্ঘদিন এর চেয়ে বেশি চা খেলে পাথর জমার আশঙ্কাও থাকে।
# আরও একটি বিষয় হলো অত্যাধিক পরিমাণে ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যাসও কিডনিতে পাথর জমার অন্যতম কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। তাই যথাসম্ভব এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।