দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রিন্সেস ডায়নার ফোর্ড এসকর্ট গাড়িটি নিলামে বিপুল দামে বিক্রি হয়েছে।দ সেই সময় ডায়নার জন্য বিশেষভাবে গাড়িটি বানিয়েছিল ফোর্ড।
প্রিন্সেস ডায়না এই গাড়িটি নিজেই চালাতেন। কালো রঙের ফোর্ড এসকর্ট আরএস টার্বো সিরিজ ১ গাড়িটি নিলামে সাড়ে ৬ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশের মুদ্রায় ৭ কোটি টাকারও বেশি) দামে বিক্রি হয়েছে!
ডায়না এই গাড়িটি বেশির ভাগ সময় নিজেই চালাতেন। কখনও কখনও তার সঙ্গে পিছনের সিটে বিশেষ আসনে থাকতেন প্রিন্স উইলিয়ামসও। ডায়নাকে এই গাড়ি নিয়ে প্রায়ই চেলসি এবং কেনসিংটনে দেখা যেতো। ডায়না গাড়ি চালালে তার দেহরক্ষীও তখন পিছনের আসনে বসতেন।
ব্রিটিশ রাজপরিবারে প্রিন্সেস নিজেই গাড়ি চালাচ্ছেন, এমন ঘটনা বলা যায় বিরল। তবে ডায়না এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সিলভারস্টোন অকশনের গাড়ি বিশেষজ্ঞ আরওয়েল রিচার্ডস। তিনি বলেছেন যে, রাজপরিবারের সদস্যরা সরকারি গাড়িতে পিছনের আসনে বসেই সফর করেন। তবে ডায়না নিজে গাড়ি চালাতেই বেশি পছন্দ করতেন।
ডায়না রাজপরিবারের রোলস রয়েসসহ অন্য গাড়ির বদলে নিজের গাড়ি ব্যবহার করতেই বেশি ভালোবাসতেন।
যদিও ফোর্ড এসকর্ট খুব একটা বিলাসবহুল গাড়ি নয়। এটি ব্রিটেনে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে আরএস টার্বো কেনার সামর্থ্য কম আয়ের মানুষদের আসলে নেই।
তবে ফোর্ড ডায়নার জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। তারা একটা অতিরিক্ত রিয়ার ভিউ মিররও দিয়েছিল, যাতে পিছনের গাড়ির উপর নজর রাখা সম্ভব হয়। গ্লাভস বক্সে একটা রেডিও রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
সাধারণভাবে এই গাড়ির রঙ হয় সাদা। তবে ডায়নার অনুরোধে এই গাড়িটির রং কালো করা হয়েছিল। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডায়না এই গাড়িটি প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার চালান। এরপর তিনি গাড়িটি ফোর্ডকে ফেরত দিয়েছিলেন। বয়সের তুলনায় গাড়িটি খুবই কম চলেছে। সাকুল্যে ২৫ হাজার কিলোমিটারের মতো চলেছে।
উল্লেখ্য, নিলাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, এই গাড়িটি বিক্রি ঘিরে সারা বিশ্বে সংবাদমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ ব্যাপক ছিলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।