ঈশ্বরদী প্রতিনিধি ॥ বাণিজ্যিকভাবে সফলভাবে গবাদিপশু ও হাঁস মুরগি পালন করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৬ (বাংলা) স্বর্ণ পদক পেলেন ঈশ্বরদীর আমিরুল ইসলাম।
বাণিজ্যিকভাবে সফলভাবে গবাদিপশু এবং হাঁস মুরগি পালন করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৬ (বাংলা) স্বর্ণ পদক পেলেন ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা গ্রামের মো. আমিরুল ইসলাম (তন্ময় ডেয়রি ফার্ম)।
১২ অক্টোবর সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
মো. আমিরুল ইসলাম-এর তন্ময় ডেয়রি ফার্ম ১৯৯৪ সালে মাত্র ১৪৬০০/= টাকা দিয়ে যার যাত্রা শুরু হয়। তার খামারে বর্তমানে ৭৯টি গাভী, ২৬টি বকনা এবং ৪৫টি বাছুর রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন দুধ উৎপাদন হয় ৫৮০-৫৯৫ লিটার। নিজ জমিতে (২.৬ হেক্টর) ঘাস উৎপাদনের পাশাপাশি ৯ জন নিরলস কর্মী দ্বারা এই ফার্মটি নিজ হাতে এবং নিজ দক্ষতায় পরিচালনা করে আসছেন আমিরুল ইসলাম।
জানা গেছে, বর্তমানে এই ফার্মটির বার্ষিক আয় ২০ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ঈশ্বরদীতে এখন ছোট বড় অনেক খামারও গড়ে উঠেছে । নিজ বাড়িতেই কৃষকের জন্য করেছেন বৈঠকখানা, যেখানে তিনি ছোট ছোট প্রান্তিক খামারী এবং নতুন উদ্যোক্তাদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আমিরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো হলো:
# ২০১২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার (ব্রোঞ্জ পদক)
# ২০১৩ সালে শ্রেষ্ঠ জাতীয় সমবায় পুরস্কার (স্বর্ণ পদক)
# ২০১৮ সালে প্রথম আলো কৃষি এওয়ার্ড
তাছাড়াও ২০২২ সালে ডেইরি আইকন হিসাবে পুরস্কৃত হন আমিরুল ইসলাম।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।