দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুল কাটা কী আদতেও ভালো? চুলের ডগা কেটে ফেললে কী তাড়াতাড়ি চুল লম্বা হয়? এই প্রশ্ন আমাদের সবার মনেই রয়েছে। এই বিষয়ে উত্তর দিলেন ভারতের চিকিৎসক জয়শ্রী শরদ।
আপনিও নিশ্চয়ই এই কথা শুনেছেন যে, চুল তলা থেকে কাটলে নাকি খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে ও ঘন হয়? তবে এই কথা কতোটা সত্যি? খতিয়ে দেখতেই আমরা দেখি বিশিষ্ট চিকিৎসক জয়শ্রী শরদ তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই বিষয়টি নিয়ে তথ্য শেয়ার করেছেন।
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় চিকিৎসক জয়শ্রী শরদ বলেছেন, এটি খুবই বড় একটা মিথ্যা। চুল ট্রিম করার সঙ্গে লম্বা হওয়ার কোনও রকম সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, চুলে কোনও রকম স্নায়ু নেই।
তাই স্ক্যাল্প থেকেই এটি বাড়ে। তাই আপনি চুলের ডগা কাটুন কিংবা না কাটুন, কোনও ফারাক হবে না চুলের বৃদ্ধিতে।
তাহলে লম্বা চুল পেতে কী করতে হবে?
চিকিৎসক জয়শ্রী শরদ এই বিষয়েও একটি টিপস শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোন কোন টিপস মেনে চললে লম্বা চুল পেতে পারেন।
আপনাকে স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে। প্রতিদিনই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিনও খেতে হবে। প্রয়োজনীয় মিনারেলও গ্রহণ করতে হবে। মন থেকে দুশ্তিন্তা দূর করতে হবে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে চুলের বৃদ্ধিতেও প্রভাব পড়তে পারে।
আবার হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রয়েছে কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
কী করবেন না
চিকিৎসক জয়শ্রী শরদ বলেছেন, অতিরিক্ত হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুলের জন্য ক্ষতিকারকও হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি বেশি হেয়ার টুল ব্যবহার করেন, তাহলে তা চুলের জন্য খারাপও হতে পারে। চুলের ক্ষতিও করতে পারে।
জেনেটিক্সের উপরেও চুলের বৃদ্ধি নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আপনার বাবা-মায়ের চুল কেমন, তার উপরেও অনেকটা নির্ভর করে আপনার চুলের ধরন কেমন হবে।
তাহলে কী চুল কাটবেন না?
না, বিষয়টি অবশ্য সে রকম নয়। প্রয়োজনে অবশ্যই চুল ট্রিমিং করতে হবে। চিকিৎসক জয়শ্রী শরদের পরামর্শ হলো, আপনার চুলের ডগা যদি ফেটে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চুল ট্রিম করুন।
কী ফল পাবেন?
হেয়ার ট্রিমিং হয়তো চুলের সার্বিক বৃদ্ধির জন্যে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। তবে আপনার লুকে এর একটি প্রভাবও পড়ে। তাছাড়াও চুল ভালো রাখার জন্যে প্রতি ৬ মাসে ট্রিমিং করার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা। চুলের ফাটা ডগা বাদ দিলে চুলের স্বাস্থ্যও তখন ভালো থাকে। আবার দেখতেও তখন ভালো লাগে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।