দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বাড়লে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হলেও কমে যেতে পারে উচ্চতা! মূলত চাকতির মতো ‘ডিস্ক’ জলশূন্য হয়ে পড়ার কারণে মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যেতে পারে। কাদের এই ঝুঁকি বেশি?
তবে অনেক সময় মেরুদণ্ডে বহুস্তরীয় চিড় ধরলেও এমন হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের উচ্চতা কমে যেতে পারে।
বয়স বাড়লে ক্ষয় হতে থাকে হাড়ের। হাড়ের যে রোগগুলো সবচেয়ে বেশি মানুষকে আক্রমণ করে, যারমধ্যে অন্যতম হলো অস্টিয়োপোরোসিস। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, প্রাথমিকভাবে বিশেষ কোনও উপসর্গ না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এই রোগের কারণে। শুধু তাই নয়, কমে যেতে পারে দেহের উচ্চতা! মূলত চাকতির মতো যে হাড় কিংবা ডিস্ক থাকে, তা জলশূন্য হয়ে পড়ার কারণে মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য তখন কমে যায়। তবে মেরুদণ্ডের হাড়ের বহুস্তরীয় চিড় ধরলেও অনেক সময় এমন হতে পারে।
আবার শুধু অস্টিয়োপোরোসিসই নয়, হাড়ের ক্ষয় থেকে দেখা দিতে পারে নানা রকমের সমস্যা। বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলে যা আরও বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার সবচেয়ে মোক্ষম হাতিয়ার হলো সঠিক খাওয়া-দাওয়া। এজন্য কী কী খাবেন?
ক্যালশিয়াম
এই মৌল হলো হাড়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম প্রয়োজন হয়। নারীদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা হলো ১২০০ মিলিগ্রাম। ক্যালশিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎসই হলো দুধ। তবে যারা দুধ এবং দুগ্ধজাত পদার্থ খেতে পারেন না, তাদের গাঢ় সবুজ রঙের শাকসব্জি খাওয়া উচিত। পালং শাক, বাঁধাকপি এবং শালগমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক
ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক এই দু’টি মৌলও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি একটি জিনিস। কুমড়োর বীজ, নানা ধরনের বাদাম এবং পালং শাকে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। মাংস, ডিম বা ডাল থেকেও পাওয়া যায় জিঙ্ক।
ভিটামিন
হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রোদে কিছুক্ষণ থাকলে ত্বকেই উৎপন্ন হয় ভিটামিন ডি। এছাড়াও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন কে পাওয়া যায় সবুজ শাকসব্জিতে। হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রোটিন। অনেকেই হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্টও খান। তবে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাটা দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।