দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুঁড়ির মেদ বাড়ার সমস্যা বর্তমান সময়ে বড় একটি সমস্যা। অনেক কম বয়েসিদেরও এখন দেখা যায় ভুঁড়ি হতে। এই ভুঁড়ির মেদ কী কমাতে পারে প্রতিদিন অ্যালোভেরা খেলে?
স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা ও সেইসঙ্গে ওজন ঝরাতে অ্যালোভেরার উপরে ভরসা রাখতে পারেন।
অনেকেই ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করেন। তবে অ্যালোভেরা ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে, সেই খবর কী আপনি রাখেন? অ্যালোভেরায় অ্যালোইন নামে এক প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন সরাসরি চর্বি গলাতে সাহায্য করে না, তবে দেহে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরায় ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন বি রয়েছে, যা মেদ দূর করতে এবং ক্যালোরি খরচ করতে সাহায্য করে। তাই স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চার পাশাপাশি ওজন ঝরাতেও অ্যালোভেরার উপরে ভরসা রাখতে পারেন। কীভাবে অ্যালোভেরা খেলে ওজন ঝরবে দ্রুত? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
# সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম পানি পান করলে তা ওজন কমাতে অনেকটা সাহায্য করে। তারসঙ্গে অ্যালোভেরা রস মিশিয়ে খেলে উপকারিতা আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
# স্বাদে খানিকটা তেতো প্রকৃতির হয়। মধুর সঙ্গে অ্যালো ভেরার রস খেলে এর তিক্ততা কমে যায় এবং স্বাদও বাড়ে। যাঁদের অ্যালো ভেরার স্বাদ একেবারেই পছন্দ নয়, তাঁরা এই উপায়ে খেতেই পারেন।
# ওজন কমাতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবুর পানি খান অনেকেই। এই পানীয়ের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খেলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে।
# খাওয়ার পূর্বে অ্যালোভেরার রস খেলে ওজন দ্রুতই কমে যাবে। খাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে এক চামচ অ্যালোভেরা খেলে হজম হবে খুব তাড়াতাড়ি। যে কারণে ওজন ঝরে দ্রুত। এই পানীয় বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে, যে কারণে শরীরে জমে থাকা ফ্যাট খুব দ্রুতই পুড়ে যায়।
# সাধারণত খালি পেটে অনেকেই লাউয়ের রস, বিট-গাজরের রসও খান। সেই রসের মধ্যেও এক চামচ অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
দিনে ৫০ মিলিলিটার অ্যালোভেরা রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে এর বেশি এক দিনে খাওয়া যাবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।