দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মীর কংক্রিট প্রোডাক্টস আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পেলো। পরিবেশবান্ধব পণ্য ভিত্তিক খাতের (কংক্রিট ব্লক, কংক্রিট ব্রিক, ফুটপাথের টাইলস, হলো ব্লক, ব্লক ইউনিট ইত্যাদি) অংশ হওয়ার কারণেই এই ঋণ সুবিধা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সবুজ এবং টেকসই অর্থায়ন সবার জন্য আরও সহজলভ্য করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু ভালো উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। এছাড়াও, কিছু পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিয়ে আসা হয়েছে। এই সুবিধার আওতায় পণ্য উৎপাদনকারীদের জন্য কম সুদে তহবিল পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মীর কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড ‘পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন’ পুনঃঅর্থায়ন উদ্যোগের আওতায় ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের কাছ থেকে ‘টার্ম ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি’ হিসেবে ১০ কোটি টাকার ঋণ পাচ্ছে।
ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড ও মীর কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেডের মধ্যে ১৩ আগস্ট মীর গ্রুপ অফ কোম্পানিজের সদর দফতরে এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে এ. কে. এম. সাজ্জাদ হোসেন, হেড অব কর্পোরেট এন্ড স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স, প্রীতম ঘোষ, রিলেশনশিপ ম্যানেজার – কর্পোরেট এন্ড স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স ও মীর কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নাবা ই জাহির, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মোঃ মিরাজ উদ্দিন, চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার, সাইফুল আজম এবং মোঃ খায়রুজ্জামান শোভন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার – একাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স।
এই বিষয়ে মীর কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাবা ই জহির বলেন, “প্রতিষ্ঠান হিসেবে মীর কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড সবসময় পরিবেশগত উন্নয়ন এবং খাতের উন্নতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় আমরাও অংশগ্রহণ করছি। সেজন্য আমরা কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস করতে ও পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগ গ্রহণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সবুজ পণ্য উৎপাদন এবং উদ্যোগ গ্রহণ চালিয়ে যেতে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন উদ্যোগের আওতায় ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের সঙ্গে এই কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।”
এই ঋণের সুদের হার সরকার নির্ধারিত হারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংক ৩ মাসের মধ্যে (আনুমানিক) নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলে ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন সন্তোষজনক হলে, মীর কংক্রিট প্রোডাক্টসের জন্য সুদের হার ৫.৫% হবে। প্রতিষ্ঠানটিকে সুদের বাকি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পরিশোধ করা হবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org