দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলি রেডিও কোল বেরামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গাজায় পরমাণু বোমা ফেলার হুমকি দেন অতি-ডানপন্থী নেতা ও মন্ত্রী আমিহাই ইলিয়াহু। তার এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
সাক্ষাৎকারে আমিহাই ইলিয়াহুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, গাজায় পারমাণবিক বোমা ফেলা উচিত কি-না, জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, ‘এটি সম্ভাবনাগুলোর মধ্যে একটি।’
তারপর এই মন্ত্রীকে বরখাস্তও করেছেন নেতানিয়াহু। তবে এই মন্ত্রী ইসরায়েলে যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার কোনো সদস্য ছিলেন না বলেও জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
গাজায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার বিরুদ্ধে ইলিয়াহু তার আপত্তি উত্থাপন করতে গিয়ে বলেছিলেন যে, ‘আমরা নাৎসিদের মানবিক সহায়তা দিবো না। গাজায় বেসামরিকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন কিছু নেই।
নেতানিয়াহু বলেছেন যে, ওই মন্ত্রীর বিবৃতি বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে নয় ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) নিরপরাধদের ক্ষতি এড়াতে আন্তর্জাতিক আইনের সর্বোচ্চ মান অনুযায়ীই কাজ করছে। আমাদের বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা তা চালিয়ে যাবো।
ইলিয়াহু তার বিবৃতিটি স্পষ্ট করে বলেছেন, সমস্ত বিবেকবান মানুষের বুঝা উচিত যে পরমাণু সম্পর্কে বিবৃতিটি রূপক অর্থে। তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই প্রয়োজন, যা নাৎসি ও তাদের সমর্থকদের কাছে স্পষ্ট করে দেবে যে সন্ত্রাসবাদের কোনো মূল্যই নেই। ইসরায়েল রাষ্ট্র জিম্মিদের নিরাপদে এবং সুস্থভাবে ফিরিয়ে দিতে সম্ভাব্য সবকিছুই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org