দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের ৫০০ কর্মী। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে লেখা এক খোলা চিঠির মাধ্যমে তারা পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স শুক্রবারে প্রকাশিত ওপেনএআই এর একটি নথি যাচাই করে। সেখানে বলা হয় যে, ‘কথোপকথনে ব্যর্থতার’ কারণে স্যাম অল্টম্যানকে বরখাস্ত করা হবে।
স্যামের বরখাস্তের ঘোষণার পর গ্রেগ ব্রোকম্যানও তার প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২০ নভেম্বর) ওপেনএআই জানায় যে, টুইচ-এর সাবেক প্রধান এমেট শিয়ার সংস্থাটির অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
স্যাম এবং ব্রোকম্যান একসঙ্গে আরেকটি প্রযুক্তি জায়েন্ট মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও সত্য নাদেলা। তারা মাইক্রোসফটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত একটি গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেবেন বলেও জানিয়েছেন নাদেলা।
গত সোমবার ওপেনএআই-র পরিচালনা পর্ষদের কাছে লেখা চিঠি দু’টিতে দাবি উপস্থাপন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। প্রথমত:, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকেই পদত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত:, সম্প্রতি বরখাস্ত হওয়া সিইও স্যাম অল্টম্যান এবং পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যানকে প্রতিষ্ঠানটিতে আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে।
কর্মীরা আরও জানিয়েছেন, তাদের এই দাবি মেনে নেওয়া না হলে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০০ কর্মী একসঙ্গে চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন। প্রয়োজন হলে তারা স্যাম অল্টম্যান এবং গ্রেগ ব্রোকম্যানের সঙ্গে মাইক্রোসফটেই যোগ দেবেন।
সই করা খোলা চিঠিতে কর্মীরা আরও বলেন, ‘আমরা চাই, আমদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হোক। আমাদের দাবি মেনে পরিচালনা পর্ষদের সকলে পদত্যাগ করে স্যাম এবং ব্রোকম্যানকে ফেরাতে হবে। তা না হলে আমরা সকলেই পদত্যাগ করে, স্যাম এবং ব্রোকম্যানের সঙ্গে মাইক্রোসফটে চলে যাবো।’ তবে ওপেনএআই কর্তৃপক্ষ এখনও এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org