দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের ৩টি রাজ্যে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে দেশটির ইনকাম ট্যাক্স কর্মকর্তারা। এই অভিযানে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নগদ ২৯০ কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। যা দেশটির ইতিহাসে বৃহত্তম অর্থ উদ্ধার অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে।
ধারনা করা হচ্ছে যে, এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে। কারণ হলো যেসব অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে; সেগুলো সব এখনও গণনা করা হয়নি। এছাড়াও অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তারা আরও কয়েকটি অর্থ লুকিয়ে রাখার জায়গা সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন।
কর বিভাগ ওড়িশাভিত্তিক একটি চোলাই মদের কোম্পানির, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিম বঙ্গের অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে।
কর বিভাগের সূত্র আরও জানিয়েছে যে, ৩টি স্থানের ৭টি রুম এবং ৯টি লকারে এ পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়নি। উদ্ধারকৃত নগদ অর্থগুলো ফার্নিচার, কাপবোর্ডসহ বিভিন্ন জিনিসের ভেতর পাওয়া গেছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে, তারা আরও কিছু স্থানের সন্ধানও পেয়েছেন; যেখানে আরও নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালঙ্কার থাকতে পারে।
বোধ চোলাইয়ের অফিস সংশ্লিষ্ট; বালদেভ সাহু ইনফ্রাতে ও এই কোম্পানির একটি চালের আড়তেও অভিযান চালানো হয়। এছাড়াও ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের এমপি ধিরাজ কুমার সাহুর বাড়িতে অভিযান চালিয়েও কয়েক কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেসব অর্থ লুট করা হয়েছে সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনা হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org