দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওমাঘ শহরে এক রহস্যময় শব্দের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে শহরবাসীদের। ওমাঘ উত্তর আয়ারল্যান্ডের একটি খুব ছোট শহর। এই শহরের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই একটি রহস্যময় গুনগুন শব্দ সম্পর্কে অভিযোগ করে আসছেন যা কেবলমাত্র রাতেই শোনা যায়!
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওমাঘ জেলা পরিষদ সক্রিয়ভাবে এই শব্দের উৎস চিহ্নিত করার জন্য চেষ্টা করে আসছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ পর্যন্ত তাদের সমস্ত প্রচেষ্টায় ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, এই শব্দের রহস্য সমাধানের জন্য শব্দ বিশেষজ্ঞদের ডাকা ছাড়া তাদের আর অন্য কোন উপায় নেই।
ওমাঘ শহরের লোকেরা সাধারণত এই শব্দটিকে একটি অবিরাম “গুঞ্জন” কিংবা “রক্ত গুঞ্জন” হিসাবে চিহ্নিত করেছেন যা সাধারণ যানবাহনের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় শোনা যায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এটি কেবলমাত্র গভীর রাতেই শোনা যায়। সাধারণত প্রায় রাত ১২টা থেকে ১ টার দিকে। যদিও কেও কেও এই রহস্যময় শব্দে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন, অন্যরা দাবি করেছেন যে, এটি তাদের রাতের ঘুমে বেঘাত ঘটায় ও জোর দাবি করছে যে কর্তৃপক্ষের এটি সম্পর্কে কিছু একটা করা উচিত।
ওমাঘ জেলা পরিষদের কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন যে, “তারা বর্তমানে শব্দের উৎস শনাক্ত করতে সহায়তা করার জন্য বিশেষজ্ঞ সরঞ্জাম ব্যবহার কিংবা একটি বিশেষজ্ঞ কোম্পানির সংগ্রহের বিষয়েও তদন্ত করছেন।
কাউন্সিলর স্টিফেন ডনেলি বলেছেন, “তবে এই শব্দের সঠিক উৎস চিহ্নিত করা কঠিন, কারণ বাসিন্দারা একটি বিস্তৃত অঞ্চলের বিষয়ে রিপোর্ট করেছে।” “আমি প্রশংসা করি যে যখন এই ধরনের একটি রহস্যঘেরা গল্প ও এটি ষড়যন্ত্রে আবদ্ধ হয় যা খুব সহজেই তুচ্ছ বিষয়ও হয়ে উঠতে পারে। তবে অবশ্যই আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা খুব চিন্তিত যে তাদের রাতের বেলায় একটি ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।”
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org