দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ কাশি বাড়লে আমরা নানা রকম ওষুদ খেয়ে থাকি। তবে ওষুধ, কাফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিক, সব রকমভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামতে চাইনা কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে তা সহজে সারতেইড চায় না।
গরমে এসি ছাড়া থাকা দায়। তবে ঘরে এসি না চালালেও কাজের জায়গায় কনকনে ঠাণ্ডা থাকেই। কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে গোটা অফিসের লোকজনকে ঘামতেও কিন্তু বলা যায় না। আশপাশে যারা বসেছেন, তাদেরও যেনো অস্বস্তি হচ্ছে। ওষুধ, কাফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিক- সব রকমভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি যেনো থামছে না কিছুতেই। তবে এই কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।
লবণ পানিতে গার্গল
কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো গরম পানি সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে দু’বার গার্গল করতে হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার এটি করা যেতে পারে।
মধু, তুলসীপাতা ও গোলমরিচ
প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খেতে পারেন। এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস ও এক চিমটে গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই সাধারণ টোটকাতে।
হলুদ ও দুধ
আমরা সবাই জানি রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণই হলো হলুদ। এই হলুদে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা লাগা ও সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুতই রেহাই পেতে পারেন।
গরম পানির ভাপ
ঠাণ্ডা লাগলে চিকিৎসকরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে সেটি বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তারমধ্যে লবঙ্গ বা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়েও নিতে পারেন ইচ্ছে করলে, এতেও কাজ হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org