দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের চেয়ে ভালোভাবে তো একটি রোবট শরীরকে কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তবে সম্প্রতি বোস্টোন ডায়নামিক্স নামক একটি প্রতিষ্ঠান ইউটিউবে এক ভিডিও আপলোড করেছে। তারা একটি ইলেকট্রিক হিউম্যানয়েড রোবট নির্মাণ করেছে যে রোবট নাকি বাস্তব জীবনে মানুষের রিয়াকশন কিংবা শরীর নিয়ন্ত্রণকে পুরোপুরিই অনুকরণ করতে পারে!
অ্যাটলাস নামক এই রোবটটি মানুষের শরীর নিয়ন্ত্রণকে অনুকরণ করতে পারছে এমনকি অনেকটা ছাপিয়ে যাচ্ছে এমন দাবি।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, অ্যাটলাস মাটিতে শুয়ে রয়েছে। এরপর রোবটটি এমনভাবে উঠে দাঁড়ায় যা মানুষের পক্ষে করা কঠিন। হিউম্যানয়েড রোবটটির মাথা অনেকটা সিলিন্ডার আকৃতির। দু’টো হাত শরীরের তুলনায় একটু বেশিই লম্বা। রোবটের মাথায় গোলাকৃতির লাইট রিং আকৃতিতে রয়েছে। আর মাঝখানে রয়েছে ক্যামেরা।
জানা যায়, অ্যাটলাস নামক রোবটটি অনেকাংশে কুকুর বা ওয়ারহাউজের রোবটের জায়গা দখল করতে পারে এমন ধারণা অনেকের রয়েছে। টেসলা এবং বিএমডব্লিউ ইতিমধ্যে গাড়ি এসেম্বলে এমন হিউম্যানয়েড রোবট ব্যবহারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। বোস্টন ডায়নামিক্সে বিনিয়োগও করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার অটোমোবাইল ম্যানুফেকচারার হুন্দাই। তারাও অ্যাটলাসকে ব্যবহার করে গাড়ি নির্মাণের কাজ পরীক্ষাও করে দেখছে। অ্যাটলাস দেখতে অনেকটা মানুষের মতো। তবে এর ব্যবহার মানুষের রেঞ্জ অব মোশনের ভিত্তিতেই করা নয়। টেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বরং মানুষের সক্ষমতার চেয়েও অনেকটা এগিয়ে যাবে এই রোবট। তথ্যসূত্র: ইনডিয়ান এক্সপ্রেস।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org