দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পূর্ব তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন কাউন্টির শোফেং টাউনশিপে মাত্র ৯ মিনিটের ব্যবধানে ৫ বার ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা ‘ফোকাস তাইওয়ান’ এই তথ্য দিয়েছে। খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির।
স্থানীয় সময় সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ৮ মিনিট থেকে ৫টা ১৭ মিনিটের মধ্যে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ফোকাস তাইওয়ান এক্স-এ পোস্ট করেছে যে, বিকাল ৫:০৮ হতে ৫:১৭ এর মধ্যে ৯ মিনিটের মধ্যে পূর্ব তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন কাউন্টির শোফেং টাউনশিপে ৫ বার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এইসব ভূমিকম্পের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটি ছিলো ৫ দশমিক ৭ মাত্রার। রাজধানী তাইপেতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। দ্বীপটির আবহাওয়া প্রশাসন এইসব তথ্য দিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি।
এইসব ভূমিকম্প ছিলো পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টি হুয়ালিয়েনকেন্দ্রিক। সেখানে এ মাসের শুরুতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়। তারপর থেকে তাইওয়ানে কয়েকশ’ আফটারশকও হয়েছে।
জানা যায়, দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছেই তাইওয়ানের অবস্থান। সে কারণেই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। এর আগে ১৯৯৯ সালে সেখানে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিলেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org