দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা ও আরও ৯ জন অরোহীকে বহনকারী একটি সামরিক বিমান নিখোঁজ হয়েছে। এই ঘটনায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, মালাউইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমা ও অন্য আরও ৯ জনকে বহনকারী একটি বিমান নিখোঁজ হয়েছে বলে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, সোমবার সকালে রাজধানী লিলংওয়ে ছেড়ে যাওয়ার ৪৫ মিনিট পরই মালাউই প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই বিমানটি ‘রাডারের বাইরে চলে যায়’। ওই বিমানটির স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পর দেশের উত্তরে অবস্থিত মজুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।
সোমবার গভীর রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সৈন্যরা এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন ও বিমানটি না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি কঠোর নির্দেশও দিয়েছি।’
এর আগে প্রেসিডেন্ট চাকভেরা তার বাহামাস সফরের ফ্লাইট বাতিল করেন। সোমবার সন্ধ্যাতে ওই সফরে তার রওনা হওয়ার কথা ছিল।
এদিকে বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি বলে জেনারেল ভ্যালেন্টিনো ফিরি প্রেসিডেন্ট চাকভেরাকে জানান। মালাউইয়ের তথ্যমন্ত্রী মোসেস কুনকুয়ু বিবিসিকে বলেছেন যে, বিমানটি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কে এই সাওলোস চিলিমা?
নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরুর পূর্বে ড. চিলিমা ইউনিলিভার ও কোকা কোলার মতো বহুজাতিক কোম্পানিতে প্রধান নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। তার বয়স ৫১ বছর ও তিনি বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।
সরকারের ওয়েবসাইটে ড. চিলিমাকে একজন ‘পারফরমার’, ‘ওয়ার্কহলিক’ ও ‘একজন লক্ষ্য অর্জনকারী’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এছাড়াও তিনি নলেজ ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org