দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ওটিটিতে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডের। প্রথমবারের মতো তিনি ওয়েব সিরিজের অভিনয় করেছেন।
সম্প্রতি মুম্বাইতে সিরিজটির ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এই অভিনেত্রী। সেখানে তার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নিজের এবং নতুন কাজ নিয়ে অনেক কথা। অনন্যা জানিয়েছেন, তার প্রথম ওটিটি সিরিজ ‘কল মি বে’ অ্যালিসিয়া সিলভারস্টোনের ‘ক্লুলেস’ এবং সোনম কাপুর অভিনীত ‘আয়েশা’সহ অনেক কমেডি সিনেমা হতে অনুপ্রাণিত।
সিরিজটি নিয়ে অনন্যা আরও বলেন, ‘এটা খুবই মজার একটি সিরিজ হবে। এই ধরনের কাজ হতেই আমি বড় হয়েছি। এট মূলত হালকা ধরনের সিরিজ, যা দর্শকরাও উপভোগ করবেন।’
কলিন ডি’কুনহা পরিচালিত এবং ঈশিতা মৈত্র নির্মিত সিরিজটির গল্প একজন তরুণীকে নিয়েই। যে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর হাজির হন মুম্বাইতে, আর মুখোমুখি হয় নানা চ্যালেঞ্জের। ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২’, ‘গেহরাইয়াঁ’, ‘ড্রিম গার্ল ২’ ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করে বেশ সাড়া পান অনন্যা। তিনি বলেন, ‘বে’ তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মজার অথচ চ্যালেঞ্জিং চরিত্রও।
‘কল মি বে’তে অনন্যা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন বীর দাস, গুরফতেহ পীরজাদা, ভিহান সামাত, বরুণ সুদ, মুসকান জাফেরি, নীহারিকা লিরা দত্ত, লিসা মিশ্র ও মিনি মাথুর। করণ জোহর, অপূর্ব মেহতা এবং সোমেন মিশ্র প্রযোজিত সিরিজটি আগামী ৬ সেপ্টেম্বর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২’র মধ্যদিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে। এরপর ‘গেহরাইয়ান’, ‘ড্রিম গার্ল ২’, ‘লাইগার’সহ একাধিক ছবিতে নিজেকে আকর্ষণীয় চরিত্রে প্রমাণ করেন তিনি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org