দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ এবার ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত হলেন দক্ষিণী তারকা সামান্থা রুথ প্রভু। ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (আইফা) অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হতে যাচ্ছেন সামান্থা। তাকে সম্মানিত করা হবে এই ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ডে।
জানা গেছে, আগামী ২৭-২৯ সেপ্টেম্বর আবুধাবির ইয়াস দ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে বলিউডের সবচেয়ে বড় এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি। যার প্রথম দিনই আইফা উৎসব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে মূলত হাইলাইট করা হচ্ছে দক্ষিণী সিনেমা জগতের সিনেমা, অভিনেত্রী-অভিনেত্রীদের৷ ও সিনেমা জগতে অবদানের জন্য সামান্থা রুথ প্রভুর অনুপ্রাণিত করা জার্নির কারণে ইন্ডিয়ান সিনেমা অ্যাওয়ার্ড বিভাগে ‘ওম্যান অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিথ করা হচ্ছে তাকে।
‘ইয়ে মায়া চেসাভে’, ‘এগা’, ‘নীথানে এন পোনভাসন্থাম’, ‘মহানতি’ ও ‘সুপার ডিলাক্স’এর মতো তামিল ও তেলেগু চলচ্চিত্রে সামান্থার দুর্দান্ত অভিনয় তাকে এনে দিয়েছে লাইমলাইটে ৷ দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সামান্থা একজন পাওয়ার হাউসও হয়ে উঠেছেন ৷ তাইতো এই খবর সামনে আসার পর নিজের উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
এদিকে এই ঘোষণা তার চোখে জল এনে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন সামান্থা। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “আইফা উৎসাবম আমার কাছে সবসময়ই স্পেশাল ৷ আমি এই গ্লোবাল ট্যুরের অংশীদার হতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। শুধু তা-ই নয়, একজন শিল্পী এবং একজন নারী হিসাবে এই পুরস্কার বারবার সীমানা অতিক্রম করার উৎসাহ জোগাবে এবং আমাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও সাহায্য করবে।” সূত্র: ফিল্মিবিট।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org