দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থামছেই না হামলা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড, লেবানন এবং সিরিয়ায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৯৪ জন নিহত হয়েছেন। যারমধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি।
অপরদিকে লেবাননে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৮ জন। নিহতদের মধ্যে ৭ জনই শিশু রয়েছে। সিরিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭ জন। আজ (১১ নভেম্বর) এই তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে যে, রবিবার ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ডজুড়ে অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে বলে গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে। যারমধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়াতে ইসরায়েলি বাহিনী একটি হামলাতে নিহত হন ৩৬ জন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর হতে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৬০৩ জনে পৌঁছেছে বলে রবিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। এছাড়াও এক বছরেরও বেশি সময় চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ২ হাজার ৯২৯ ফিলিস্তিনি।
অপরদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে যে অভিযান চালিয়েছে তাতে আরও ৩৮ জন নিহত হন। যারমধ্যে রাজধানী বৈরুতের উত্তরে আলমাত গ্রামে হামলায় ২৩ জন নিহত হন। আলমাত গ্রামে হওয়া এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ৭ শিশু রয়েছে। মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর হতে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি হলো, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চলছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org