দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মোবাইল হ্যান্ডসেটের এন্ট্রি-লেভেল ক্যাটাগরিতেও ব্যবহারকারীদের চমকে দিতে প্রস্তুত অনার বাংলাদেশ। অপেক্ষার পালা শেষে, আবারও ফ্যানদের পছন্দের এক্স সিরিজের হ্যান্ডসেট নিয়ে আসছে ব্র্যান্ডটি।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এবারে অনারের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রিমিয়াম সেগমেন্টের স্মার্টফোনের সাথে টেক্কা দিতে পারে এমন ব্যাটারি লাইফ এবং স্টোরেজ সুবিধা থাকছে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ক্যাম্পেইনে দেখা গেছে, অনার বাংলাদেশের কর্মীরা প্ল্যাকার্ড ধরে রেখছেন, যেখানে লেখা: ‘চার বছর নিশ্চিন্তে।’ সবাই কৌতুহলোদ্দীপক এ ক্যাম্পেইন নিয়ে জল্পনা- কল্পনাও শুরু করে দিয়েছেন। এর মানে কী? অনার যে ডিভাইস নিয়ে আসছে তা-কী এতোটাই নির্ভরযোগ্য, এতটাই টেকসই?
গত অক্টোবরে উন্মোচনের পরপরই এক্স৫বি প্লাস ও এক্স৫বি, অনারের এই ডিভাইস দুটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। স্মার্টফোনগুলোতে সুপার ডিউরেবল ব্যাটারি ব্যাবহার করা হয়েছে, যার ফলে এক হাজারবার চার্জ করার পরও এটি ৮৫ শতাংশ ব্যাটারি লাইফ বজায় রাখবে। একইসাথে, এই ডিভাইসগুলোতে রয়েছে অনবদ্য ডিসপ্লে, নিখুঁত এবং ঝকঝকে ছবি, সুবিশাল ডিস্ক স্পেস এবং বিস্তৃত পরিসরে এআই-নির্ভর সেবা।
একবার ভেবে দেখুন, অনবদ্য ক্যামেরায় আপনি স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবনের স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করে ফেলছেন; আবার ফোন কেনার জন্য পকেটেও পড়ছে না অতিরিক্ত চাপ। আপনি যদি এই বছর স্মার্টফোনে সাশ্রয়ী মূল্যে আকর্ষণীয় পারফরমেন্স পেতে চান, তাহলে অনারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে চোখ রাখুন। অনন্য এই সুযোগ যেনো হাতছাড়া না হয়ে যায়!
খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org