দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টাইফুনকে আমরা ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে দেখে থাকি। কিন্তু এই দুর্যোগকেও কাজে লাগাতে চলেছে জাপানি বিজ্ঞানীরা। তারা এমন এক টারবাইন বানিয়েছেন যা ঝড়ের তীব্র শক্তি কাজে লাগিয়ে ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদন করবে!
তার এই তত্ত্ব যদি সঠিক হয়, তবে একটি টাইফুনের আঘাতে জাপান অন্ততপক্ষে ৫০ বছর চলতে পারবে। এমন খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের সর্বপ্রথম এই টাইফুন টারবাইনের উদ্ভাভক হলেন আতুশু শিমিজু। অত্যন্ত টেকসই, ‘এগবিটার’ আকৃতির এই ডিভাইসটি টাইফুনের জোরালো শক্তিকে শুধু আটাকাবেই না, সেই সঙ্গে একে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরিতও করবে! উদ্ভাভক শিমিজু’র হিসাব অনুযায়ী, এই টারবাইন একটি টাইফুন হতে ৫০ বছর জাপানের শক্তি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম!
২০১১ সালে ফুকুশিমা দুর্যোগের প্রভাবে বর্তমানে জাপান শক্তির অভাব মোকাবেলা করছে। শিমিজু সিএনএন-কে বলেছেন, “বর্তমানে জাপানের সৌরশক্তির চেয়ে বেশি বায়ুশক্তি রয়েছে, এটি কাজে লাগানো হচ্ছে না।”
শিমিজু’র কথা ফেলেও দেওয়া যাচ্ছে না। চলতি বছর ইতিমধ্যে জাপানে ৬টি টাইফুন হয়েছে। এই হিসাবেই গ্রিন টেক প্রতিষ্ঠান ‘চ্যালেঞ্জারি’-এর প্রতিষ্ঠাতা এই উদ্ভাবক আরও জানান, জাপান ‘বায়ুশক্তিতে সুপারপাওয়ার’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই টাইফুন টারবাইন দুটি ক্ষেত্রে প্রচলিত টারবাইন হতে একটু আলাদা। এটি সর্বতোমুখী অঘাতে কাজ করে, যে কারণে তা বায়ুর অপ্রতিরোধ্য গতির মুখেও টিকে থাকতে পারে। আবার ঝড়ের সময় ব্লেডের গতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গতি সীমিত রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করে।
জানানো হয়েছে, এক প্রোটোটাইপ টেস্টে এর দক্ষতা প্রায় ৩০ শতাংশ ছিল, যা প্রপেলারভিত্তিক টারবাইন হতে প্রায় ১০ শতাংশ কম।
শিমিজুর টারবাইন প্রচণ্ড ঝড়েও টিকে থাকতে সক্ষম। ২০১৩ সালে টাইফুন উসাগি ৮টি প্রচলিত টারবাইন ধ্বংস করেছিল।
চলতি গ্রীষ্মে ওকিনাওয়ার কাছাকাছি এলাকায় একটি ফাংশনাল প্রোটোটাইপ স্থাপন করা হয়। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে উচ্চ বায়ুচাপে ডিভাইসটি পরীক্ষা করা। তাই বিশেষজ্ঞরা এখন অপেক্ষা করছেন একটি টাইফুনের। তখন বিষয়টি তাদের কাছে পরিষ্কার হবে।