দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাশ্মির নিয়ে একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। দুটি দেশই কেওই যেনো কারও থেকে কম নয়। তবে ভারতের ভয় পাকিস্তানের ৩টি ভয়ঙ্কর অস্ত্রে!
সর্বশেষ ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সেনা ব্রিগেড দফতরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ১৮ সেনা নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে এমন এক পরিস্থিতির কারণে সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে উরিকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান কী সত্যিই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চলেছে?
পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তার সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে শঙ্কিত সমর বিশেষজ্ঞরাও। এছাড়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে দেশ দুটি নিজেদের ভান্ডারের কোন কোন অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করবে, তারও একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওই মার্কিন ম্যাগাজিন ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ এই যুদ্ধে পাকিস্তানের যে ৩টি অস্ত্র ভারতের ভয়ের কারণ হতে পারে তার একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
১) জেএফ-১৭ থান্ডার ফাইটার বোম্বার:
স্বল্প ব্যয়ের এই বিমানটি আকাশ প্রতিরক্ষায় পাকিস্তানকে বাড়তি সুবিধা দেবে। জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান পাকিস্তান চীনের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। এটাকে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ফাইটার ফ্লিটের মেরুদণ্ড ভাবা হয়ে থাকে।
মিরেজ-৩ ও ৪ এবং চেংদু এফ-৭ ফাইটারের উন্নত ভার্সন হিসেবে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর জন্য প্রায় ২০০টি জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান তৈরি করা হচ্ছে। এটি অনেকটা ফ্রান্সের মিরেজ-৪ ও আমেরিকার তৈরি এফ-১৬ ফ্যালকন ফাইটারের মতোই।
আধুনিক ফ্লাই-বাই-ওয়্যার সিস্টেম, শক্তিশালী রাডার সিস্টেম ও স্থলভাগে হামলার জন্য প্রযোজ্য লেজার সুবিধা সম্পন্ন এই জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান। এছাড়া আকাশ হতে আকাশে হামলার ক্ষেত্রে এতে সংযুক্ত রয়েছে ইনফ্রারড মিসাইল। এটি ৮০০০ পাউন্ড জ্বালানি ও যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম।
২) খালিদ-ক্লাস সাবমেরিন:
যুদ্ধযানের সংখ্যায় ও জনবলের দিক থেকে পাকিস্তান ভারতের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও প্রযুক্তিতে তারা পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে। খালিদ-ক্লাস সাবমেরিন সে ধরনেরই একটি অস্ত্র। করাচি বন্দর অচল করে দেওয়ার ভারতীয় নৌবাহিনীর যে কোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে পারে এই সাবমেরিনটি!
খালিদ-ক্লাসের ৩টি সাবমেরিন অত্যাধুনিক। সমুদ্রে এটিকে শনাক্ত করা খুবই কঠিন। এছাড়া এতে রয়েছে গাইডেড টর্পেডো। এফ-১৭ মোড-২ টর্পেডো ২০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে ২৫০ কেজি ওয়ারহেড নিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম। জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এটিতে রয়েছে।
৩) পরমাণু বোমা:
পাকিস্তানের পরমাণু বোমা ভারতের বিশাল সামরিক বাহিনীর বিপক্ষে দেশটির সুরক্ষা হিসেবেই দেখা হয়। কারণ হলো, কনভেনশনাল যুদ্ধে অল্প কয়েক দিনেই কাবু হয়ে যাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তখন নিরুপায় হয়ে তারা হাত বাড়াবে পরমাণু অস্ত্রের দিকে! এটিই ভারতের সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ।
মার্কিন ওই ম্যাগাজিনের খবর অনুযায়ী, পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার দিক দিয়ে পাকিস্তান ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। পাকিস্তানের পরমাণু বোমার সংখ্যা ১২০-১৩০টি। যা সংখ্যায় ভারতের চেয়ে ১০টি বেশিও হতে পারে। তাছাড়া পরমাণু বোমা সহজে ব্যবহার উপযোগী করার ক্ষেত্রে দেশটির বিশেষ কৃতিত্বও রয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে মার্কিন ওই ম্যাগাজিন ‘ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট’ এ।