দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আদালতের কাছে পদ বলে কোনো বিষয় নয়। তাই তাকে বিচারকের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, জনগণের বিচারে জয়ের মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যে আদালতের বিচারকের মুখোমুখি হতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে সদ্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
প্রতারণার এক মামলায় আগামী ২৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে হাজির হতে হবে।
সান ডিয়াগো ফেডারেল কোর্টে হাজির হতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে অ্যাটর্নি প্যাট্রিক জে কলিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার আগে বিষয়টি মিটমাট করে নিলে সেটি এড়াতে পারবেন।
মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন বিলুপ্ত ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী।
তাদের অভিযোগ ছিলো, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডিগ্রির মর্যাদার তুলনায় অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে। ট্রাম্প এই বিষয়টি জানতেন।
এ বছরের অগাস্ট মাসে মামলাটি হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত তার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নভেম্বরের ২৮ তারিখ ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাজিরার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান কলিন।
শুরু হতেই ট্রাম্প এই মামলার বিচারক গঞ্জালো পি কিউরিয়েলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন বলে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিচারক মেক্সিকান বংশোদ্ভূত হওয়ায় মামলায় ন্যায়বিচার পাবেন না বলে মনে করছেন ট্রাম্প।
নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই মেক্সিকানদের ‘ধর্ষক এবং সন্ত্রাসী’ বলে আসছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় গেলে দেশটির সঙ্গে থাকা সীমান্ত দেওয়াল তুলে দেওয়ারও ঘোষণাও দেন এই রিপাবলিকান।
ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থীদের করা এই মামলা ছাড়াও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ডেইলি নিউজ।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার মধ্যদিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।