দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাচীন ইমানুয়েল আফ্রিকান মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে ৯ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ডিলান রুফ।
শুক্রবার দেশটির সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের চার্লসটনের একটি আদালতে চলছিলো ‘বর্ণবাদী ঘৃণাজনিত’ কারণে ৯ জনকে খুনের ওই বিচারকাজ।
ওই বিচারকাজের মধ্যেই অট্টহাসি হেসে ডিলান বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই খুন করেছি।’ এরপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা তাঁকে আবার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি তাদের গুলি করেছেন?’ আবারও অট্টহাসি হেসে রুফ হ্যাঁ-সূচক উত্তর দেন!
তারপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা তাকে আবার প্রশ্ন করেন, ‘ওই দিন কতোজন মানুষকে হত্যা করেছিলেন আপনি?’ এবার মাশরুমের মতো করে কাটা চুলের ২২ বছর বয়সী যুবক শান্তভাবে উত্তর দেন, ‘আপনি যদি আমাকে অনুমান করতে বলেন, সম্ভবত ৫ জন। তবে আমি ঠিক নিশ্চিত নই।’
আদালতে রুফ স্বীকার করেছেন, ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সময় তিনি ‘একটু মদ্যপান’ করেছিলেন। তবে তিনি কেবল হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে গির্জায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকেছেন বলেও স্বীকার করেন।
এর পূর্বে আদালতে পুলিশ বলেছে, গত বছরের জুনে ৪৫ ক্যালিবারের একটি পিস্তল দিয়ে ওই গির্জায় প্রায় ৭০ রাউন্ড গুলি করেছিলেন রুফ। এতে প্রার্থনারত অবস্থায় ১২ জন মানুষ গুলিবিদ্ধ হন ও পরে মারা যান ৯ জন।
ওই ঘটনার পরপরই সাউথ ক্যারোলাইনার লেংনিটোনের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী ওই বন্দুকধারী ডিলান রুফকে শেলবির একটি বাসস্টেশন হতে আটক করা হয়। ওই ঘটনার পর ২শ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ইমানুয়েল আফ্রিকান মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে ঘটা এই ঘটনাটিকে ‘বর্ণবাদী ঘৃণাজনিত অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেন চার্লসটনের পুলিশ প্রধান গ্রেগরি মুলেন।