দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবচেয়ে কম পাসের হার হলো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে। দশ বোর্ডে গড় ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করলেও কুমিল্লা বোর্ডে সবচেয়ে কম ৫৯ .০৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী এবার উত্তীর্ণ হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি ও গণিতের সঙ্গে মানবিক এবং ব্যবসায় প্রশাসনের ৫টি বিষয়ে বড় সমস্যায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে এমন বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর কুমিল্লা বোর্ডে ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এবারের বিপর্যয়ের পেছনে মূলত ৩টি কারণকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছেন শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তারা।
এগুলো হলো:
প্রথমত: মানবিক ও ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের খারাপ ফল,
দ্বিতীয়ত: এমসিকিউ অংশের নম্বর কমিয়ে দেওয়া ও
তৃতীয়ত: সার্বিকভাবে খাতা মূল্যায়নে কড়াকড়ি করা।
কুমিল্লা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেছেন, এই বোর্ডের যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে বেশি শিক্ষার্থী ইংরেজি ও গণিতে ফেল করেছে, সেগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লা বোর্ড হতে এবার যে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়, তাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই মানবিক ও ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থী ছিলো; বাকিরা বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রী।
আজকের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, তিন বিভাগ মিলিয়ে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ১১ জন এবার পাস করেছে। যে ৪১ শতাংশ অকৃতকার্য হয়েছে, তারমধ্যে ৩৭ শতাংশই মানবিক ও ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগে ৮৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৫৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ পাস করলেও মানবিকে পাসের হার নেমে এসেছে ৪১ দশমিক ১৪ শতাংশে। মানবিক এবং ব্যবসায় প্রশাসনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সার্বিকভাবে এই বোর্ডের পাসের হার এবার অনেকটা নেমে এসেছে।
এই বোর্ডে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৪ হাজার ৪৫০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অথচ গতবছর পূর্ণ জিপিএ পেয়েছিল ৬ হাজার ৯৫৪ জন এ বোর্ড হতে।
কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার বোর্ডে ইংরেজিতে ২৫ হাজার ৬০৬ জন ও গণিতে ৩৪ হাজার ৯৮৯ জন শিক্ষার্থী এবছর ফেল করেছে। এই সংখ্যা মোট পরীক্ষার্থীর যথাক্রমে ১৪ এবং ১৯ শতাংশ।
গত বছরও ইংরেজিতে ৯৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ ও গণিতে ৯২ দশমিক ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিলো বলে কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।