দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরও ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ব্যবসা হতে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি। নানা উপহার নিয়ে তিনি এবার মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।
ব্যবসায়িক কারণে ট্রাম্পকে খুশি করতে বিভিন্ন বিদেশি সরকার তাঁকে লাখ লাখ ডলার উপহার পাঠিয়েছে, যেটি মার্কিন শাসনতন্ত্রের পুরোপুরি লঙ্ঘন। এই অভিযোগ এনে ফেডারেল আদালতে মামলা ঠুকেছেন ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের দুই অ্যাটর্নি জেনারেল।
এমন অভিযোগ তুলে এর পূর্বেও একাধিক মামলা হয়েছে, তবে এবারই প্রথম অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে মামলা সম্মুখীন হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অঙ্গরাজ্যের দুই অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়ের করা মামলায় তারা অভিযোগ করেছেন, সব ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক স্বার্থ হতে তিনি দূরে থাকবেন, অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি বাণিজ্যিক স্বার্থ হতে কোনো ফায়দা নেবেন না, প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় ট্রাম্প এই শপথই নিয়েছিলেন। তবে বাস্তবে তিনি সে শপথ ভঙ্গ করেছেন।
ট্রাম্পের পুত্র এরিকের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি এখনও তাঁর কোম্পানির অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশসংক্রান্ত খবরাখবর নিয়মিত নিয়ে থাকেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে সদ্যনির্মিত ট্রাম্প হোটেলের মাধ্যমে তিনি কুয়েত এবং সৌদি আরবসহ বিভিন্ন সরকারের নিকট হতে মোটা অঙ্কের ব্যবসাও তিনি পেয়েছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, শাসনতন্ত্রে বিদেশি উপহার রোধের যে ধারা রয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তা লঙ্ঘন করে চলেছেন। এই দুই অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করে বলেছেন, একটি ‘সৎ সরকার’ পাওয়ার অধিকার ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া এবং মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যসহ আমেরিকার সব নাগরিকেরই রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মামলার সুবাদে ট্রাম্পের আয়কর দাখিলের কপি আদালতের সামনে স্থাপনের দাবিও উঠতে পারে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, এই আয়করের হিসাব হতেই মূলত স্পষ্ট হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি সরকার বা ব্যাংকের সঙ্গে কোনো গোপন লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কি না।