দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জীবনের অন্তত তিন বছর কাটে শৌচাগারে! এই পরিসংখ্যার দেখে অনেকেই হয়তো আশ্চর্য হবেন সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাই ঘটে। গড় হিসাব করে এই তথ্যটি বের করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
আমাদের জীবন কতো বড়? ৩০ ৪০ নাকি ৬০ ৭০? সেটি কিন্তু আমাদের জানা নেই। কারণ কার কখন মৃত্যু আসবে তা কেও বলতে পারে না। তবে সাধারণভাবে গড় আয়ু ধরা হয়ে থাকে। সেখানে বলা হয় ৬০ বা তার কিছু কম বেশি। তবে সেই গড় হিসাব করেই একটি তথ্য বেরিয়ে এসেছে যে, মানুষের জীবনের চলাফেরা, উঠাবসা, ঘুমানো সবকিছুরই একটা হিসাব আছে। তাতে বেরিয়ে এসেছে যে, একজন মানুষ গড়ে জীবনের তিন বছর সময় ব্যয় করেন কেবলমাত্র শৌচাগারে! বছরে গড় অন্তত আড়াই হাজার বার যাওয়া হয় শৌচাগারে!
সেখানে আরেক তথ্যে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ তার নিজের মোবাইল ফোনটি হারায় কিংবা নষ্ট করে। আর সেজন্যই হয়তো বর্তমানে সময় মানুষ তার ড্রয়িং রুমের চেয়ে শৌচাগারের সাজসজ্জায় বেশি অর্থ ব্যয় করে থাকেন! শুধু তা-ই নয়, প্রায় ৭০ শতাংশ দম্পতির মধ্যে ঝগড়া কিংবা বিতর্ক হয় এই শৌচাগার নিয়েই- এমন তথ্যই তাতে উঠে এসেছে।
ভারতের হায়দরাবাদে সম্প্রতি এক সেমিনারে শৌচাগার নিয়ে এমন সব মজার মজার তথ্য উঠে এসেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়। ভারতের প্লাম্বিং অ্যাসোসিয়েশন ‘চেঞ্জিং ফেইস অব বাথরুম’ নামে ওই সেমিনারের আয়োজন করেছিল।
সেমিনারে কল্পনা রমেশ নামে অন্দরসজ্জাবিষয়ক একজন স্থপতি বলেছেন, ‘ইতিপূর্বে শৌচাগারকে অবহেলিত স্থান হিসেবেই গণ্য করা হতো। তবে বর্তমানে যারা ফ্ল্যাট কিনতে আসেন, তারা আগে গিয়ে শৌচাগারের ব্যাপারে খোঁজখবর করেন। ক্রেতারা নিশ্চিত হতে চান, শৌচাগারের প্রতিটি ফিটিংস যেনো নামীদামি কোম্পানির হয়। আবার আকার-আয়তনের দিক থেকেও যেনো সুবিধাজনক হয়। সে কারণে অনেক গ্রাহক বিলাসী, উপযুক্ত ও সুন্দর নকশার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আসেন।’
বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই বাথরুমকে ফিটফাট রাখার চেষ্টা করে থাকি। এটি যেনো আমাদের সাধারণ স্বভাবে পরিণত হয়েছে।