দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়ে মানুষের জীবনে একবারই আসে, এমন কথায় আমরা সারাজীবন শুনে আসছি। তাছাড়া ছেলেরা একাধিক বিয়ে করে থাকেন। কিন্তু এবার এক তরুণী এমন এক কাণ্ড করলেন যা শুনলে বিস্মিত হবেন। ওই তরুনী দুই বছরে ১১ জনকে বিয়ে করেছেন!
এমন একটি ঘটনা ঘটেছে থাইল্যান্ডে। এক থাই তরুনী দুই বছরে ১১ জনকে বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে আবার এক মাসের মধ্যেই চারজনকে বিয়ে করেন তিনি। তবে কারও সঙ্গেই ঘর-সংসার করেননি এই তরুণী। আসলে সংসার করতেও চাননি। কেনোনা, তিনি বিয়ে করেন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই। তার বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণ হলেই তিনি লাপাত্তা হয়ে যান!
পুলিশের কাছে অভিযোগের পর থাইল্যান্ডের গণমাধ্যমে সম্প্রতি ওই তরুণীর বিষয়ে এমন সব আজব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ওই তরুণী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে নানা কৌশলে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। আস্তে আস্তে সেই সম্পর্ক আরও গভীরতার দিকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে বিয়ে করেন। তারপর তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হন।
ওই থাই তরুণী এভাবে গত দুই বছরে ১১ জন পুরুষকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে কেটে পড়েছেন। থাইল্যান্ডের রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর প্রত্যেক পুরুষই ওই তরুণীকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিয়ে থাকেন। ১১ জন স্বামীর প্রত্যেকের কাছ থেকে তিনি ৬ হাজার হতে ৩০ হাজার পর্যন্ত মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। অর্থ আদায়ের পর তিনি কোনো এক অজুহাত দেখিয়ে তখন সটকে পড়েন।
সম্প্রতি প্রতারিত ওই ১১ জনের মধ্যে থেকে একজন পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনাটি স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে যায়। তখন অন্য প্রতারিত ব্যক্তিরাও এসে একই অভিযোগ করতে থাকেন পুলিশকে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১২ জন অভিযোগকারী ওই নারীর স্বামী বলে দাবি করেছেন। তবে পরে ১১ জনের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
প্রতারিত ওইসব প্রতারিত পুরুষদের আইনজীবীর বরাত দিয়ে থাইল্যান্ডের ইংরেজি ভাষার পত্রিকা ‘দ্য নেশন’ জানিয়েছে, সবার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করা এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি একই ধরনের ছিল। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তবে তরুণীর এখনও খোঁজ পাইনি পুলিশ।